কবে কার্যকর হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন? এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। আর সেই মতোনই ভোটের আগে মতুয়াদের মন জয়ের সম্মুখীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার প্রায় ৩০টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট, আর তাতেই বাজিমাত অমিত শাহের সভা। 'নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছি। কিন্তু এরপর করোনা এসে গেল। আইন চালু করতে দেরি হয়ে গেল। কোভিড টিকাকরণের পরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে', ঘোষনা অমিত শাহের।
এদিন বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করে বললেন, দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া মিটলে এবং করোনা থেকে মুক্তি পেলেই দেশজুড়ে ‘বিতর্কিত’ সিএএ আইনটি কার্যকর করবে কেন্দ্র। বলাবাহুল্য, বাংলার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সিএএ। গত লোকসভা ভোটের আগে ঠাকুরনগরে এসে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শাহ। সেই কথা মনে করিয়ে শাহ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এখানে ভোটের আগে মতুয়াদের নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ভোটে মতুয়ারা আমাদের ঝুলি পদ্মফুলে ভরিয়ে দিয়েছেন। আমরাও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) সংসদে পাশ করেছি। বিভাজনের সময় কংগ্রেস নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যে সব হিন্দু শরণার্থী আসবেন, তাঁদের আমরা ভারতের নাগরিকত্ব দেব, সম্মান দেব। কিন্তু ৭০ বছরে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। ২০১৮ সালে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মোদি সরকার ক্ষমতায় এলেই CAA চালু করব। ২০২০ সালেই আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেছি। নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছি। কিন্তু এরপর করোনা এসে গেল। আইন চালু করতে দেরি হয়ে গেল। মমতা দিদি প্রচার করা শুরু করলেন, এঁরা নাগরিকত্ব দেবে না। আর করতে চাইলেও আমি করতে দেব না। কিন্তু মমতা দিদি এটা বিজেপি (BJP) সরকার। যা বলে সেটা করে দেখায়। আমি আজ এই সভা থেকে ঘোষণা করে দিচ্ছি, যখনই করোনার টিকাকরণ শেষ হবে। তখনই আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে।”