বিশ্বভারতীর 'প্রতীচী'র সীমান্তবর্তী জমি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেনের এলাকার মধ্যে পড়ে, এমনটাই অভিযোগ করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয় বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবটা জানিয়ে নিজেকে 'বোন' ও 'বন্ধু' পরিচয়ে অমর্ত্যবাবুকে চিঠি দেন কেন্দ্রবিরোধীতার রেশ টেনে। এবার এ বিষয়ে সরাসরি অমর্ত্য সেনের বক্তব্য প্রকাশ্যে এল।
তাঁর মতে বিশ্বভারতী আগে কখনো জমি নিয়ে বেনিয়মের কথা জানায়নি। দীর্ঘমেয়াদি লিজে যে 'প্রতীচী' র জমি নেন তার এখনো মেয়াদ ফুরোয়নি। তাই কোনো পদক্ষেপ নিলে তা আইনি পথেই নেবেন বলে জানান সংবাদমাধ্যমকে। অন্যদিকে বিশ্বভারতীর দাবি, চল্লিশের দশকে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনকে ৯৯ বছরের জন্য ১২৫ ডেসিমেল জমি লিজ দেন যা বর্তমানে মেপে দেখা যায় বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল এখন অমর্ত্যবাবুর পারিবারিক বাড়ি প্রতীচীর আওতাভুক্ত এবং জমির পরিমাণ বেড়ে এখন ১৩৮ ডেসিমেল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং রাজনৈতিক কারণকেই দায়ী করেন। অমর্ত্যবাবু নিজেও জানান ঢাকা ও শান্তিনিকেতনে বড়ো হয়ে ওঠায় রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল উভয়েরই সংস্কৃতি বহন করছেন তিনি, তাই এখন সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করতে পারবেন না তিঁনি। মনোবল বাড়াতে বহুকাল আগে আঁকা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা নিজের বাড়ির ছবি ও আরও সম্পদের সাহায্য নিতে তিঁনি প্রস্তুত।