টাকার দাবীতে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন। খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরের সীতাকুণ্ড এলাকায়। ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ফেরার।
বছর চারেক আগে মগরাহাটের সরিফা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় বারুইপুরের সীতাকুণ্ড এলাকার রফিকুল মণ্ডলের। তাঁদের তিন বছরের একটি ছেলেও আছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের যৌতুক দেওয়ার পরেও তাঁদের মেয়ের কাছ থেকে বারবার টাকার দাবী করা হত। টাকা দিতে না পারলে গৃহবধূর কপালে জুটত অত্যাচার। গত অগাস্ট মাসে ফের ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় সরিফার বাপেরবাড়ির কাছ থেকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ হাজার টাকাও দেয় গৃহবধূর পরিবার।
গতকাল বাকি টাকার দাবীতে প্রচণ্ড মারধোর করা হয় গৃহবধূকে। এরপরেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে। মৃতার বাবার অভিযোগ, সবসময় তাঁদের থেকে টাকা, সোনা চাইত ছেলের বাড়ির সদস্যরা। দিতে না পারলেই মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত তারা। তাঁর দাবী, মেয়ের গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে জামাই, তার মা এবং তার বৌদি।
গতকাল গৃহবধূকে হত্যার পর তাঁর মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মৃতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবী, ঘটনার পরেই তাঁদের তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ইতিমধ্যেই স্বামী সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।