৭ লক্ষ টাকা দিলে স্কুলে ফিজিকাল এডুকেশন শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেবেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত। আর এই ফাঁদেই পা দিয়ে টাকা দিয়ে বসেন অতনু রায় নামে এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। বদলে অতনুবাবুকে একটি সরকারি দপ্তরের জাল নিয়োগপত্র দেন উত্তম সেনগুপ্ত ও তার স্ত্রী শিখা সেনগুপ্ত। সেটি যে ভূয়া, তা জানতে পেরে তড়িঘড়ি অতনুবাবু ছুটে যান উত্তম সেনগুপ্তর কাছে। উত্তম ও তার স্ত্রী ওটি ফেরত নিয়ে অতনু রায়কে তিন লক্ষ টাকার একটি চেক দেন। ব্যাঙ্কে নিয়ে গেলে সেটিও বাউন্স হয়। প্রতারিত হয়ে অতনুবাবু পুরো টাকাটা দাবি করেন উত্তম সেনগুপ্তদের থেকে। কথায় কাজ না হওয়ায় সরাসরি আদালতে উত্তম সেনগুপ্ত ও শিখা সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে মামলা করেন অতনুবাবু।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে উত্তমবাবু ও শিখাদেবী দাবি করেন এটা বিজেপির গভীর ষঢ়যন্ত্র। ভোটের আগে তাদের বদনাম করতে এই নোংরামো করছে বিরোধীরা। অন্যদিকে অতনু রায়ে আইনজীবী জানান, "আমার মক্কেলের কাছে তাঁর অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে। বর্ধমান থানার আইসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।" উত্তমবাবু বলেন তারা কোনো চেক দেননি, সেটি হাতিয়ে নিয়েছে, এমনকি কোনো ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েছেন তার প্রমাণ দেখাতে পারবেননা অতনু রায়। তৃণমূল জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসও একে স্রেফ উত্তমবাবুকে ফাঁসানোর জন্য বিজেপির চক্রান্ত বলেই দাবি করেছেন।