কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক (Contai Co-operative Bank) থেকে অপসারণের দাবিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল। পদ্ধতিগত ভাবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়লেও এর পেছনে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কার্যত ঘরে-বাইরে বাড়তি 'চাপে' রাখতে এই কৌশল মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশ।
ইতিমধ্যেই সিবিআই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার সঙ্গে 'সাক্ষাতের' বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখে তুষার মেহেতার অপসারণের দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যেই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে অপসারণের জন্য অনাস্থা প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সোমবার এই অনাস্থা প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে জরুরি সভা ডাকার দাবি তুলেছেন ডিরেক্টররা। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে ১৪ জন ডিরেক্টর আছেন। এর মধ্যে ১২ জনের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটাভুটির মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর।
উল্লেখ্য, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নির্দেশে শুরু হয়েছে স্পেশাল অডিট। রাজ্য অর্থ দফতর এই কাজ করছে। বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের এই বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ২০০৯ সাল থেকে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে আসীন। কিন্তু দলবদলে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। এর আগে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেও বেশ কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বে ছিলেন। এ নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সমবায় সেল তাঁর পদ অপসারণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করে। এরপর রাজ্য সরকার উঠে পড়ে লেগে যায় বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।