পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তবুও মহেশতলায় রাসায়নিক গোডাউন থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুন এখনও পুরোপুরি বাগে আনা যায়নি। ইতিমধ্যেই ২টি কারখানা সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে। রাসায়নিক থাকার কারণে জলের পাশাপাশি আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফোম। তবে পরিস্থিতি বিচার করে রোবট আনা হচ্ছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টায় দমকলের ১২ টি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "অধিকাংশ কারখানাগুলিতে মজুত রয়েছে রাসায়নিক দাহ্য। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। এটি একটি শিল্প কারখানা এলাকা। অধিকাংশ কারখানাতেই রায়াসনিক তৈরি হতো বা রাসয়নিক মজুত রয়েছে। ফলে আগুনের তীব্রতা এতটা বেশি হয়েছে। এখনওপর্যন্ত দমকলের ১১ টি ইঞ্জিন কাজ করছে। একটি ফোম টেন্ডারও রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রোবট আনা হচ্ছে।"
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায় বেশ কিছু কারখানা ও গুদাম রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাসায়নিক কারখানা থেকে বিকট শব্দ পান আশপাশের গুদামের শ্রমিকরা। এরপরেই ধোঁয়া দেখেই, দমকলে খবর দেওয়া হয়। প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। পরে একে একে বাড়তে থাকে ইঞ্জিনের সংখ্যা। বর্তমানে আগুনকে আয়ত্ত আনার চেষ্টায় ১২ টি ইঞ্জিন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, “আধিকারিকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে শীঘ্রই। রোবটও কাজে লাগানো হচ্ছে। একজন সামান্য জখম হয়েছেন।”