আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক দলের পাখির চোখ ২১০ নন্দীগ্রাম বিধানসভা। ২০১১ পালাবদলের রাজনীতিতে নন্দীগ্রাম মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল। এবারের নির্বাচনেও যে নন্দীগ্রাম বড় ভূমিকা নিতে চলেছে, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশের মত । রাজনৈতিক প্রচারের শুরুর থেকেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট প্রার্থী থেকে শুরু করে তারকা প্রার্থীদের নন্দীগ্রামের মাটিতে দেখা গেছে।
পায়ে চোট লাগার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর নন্দীগ্রামে দেখা যায়নি। তবে তৃণমূলের একঝাঁক তারকা প্রার্থীকে বারবার নন্দীগ্রামে দেখা গেছে। কখনও শতাব্দী রায় , ব্রাত্য বসু থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার অভিনেতা সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারীকে বিশেষ রোড শোয়ে দেখা গেছে। তার পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি সভা করেছেন নন্দীগ্রামে।
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের মাটি ছাড়তে নারাজ। তিনি প্রতিদিন জনসভা করছেন, আর সেখানে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের যেন ঢল নেমেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক একাংশের মত। এই প্রচারে অভিনেতা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীও আসতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। মহাগুরু নিজেই নাকি মমতার বিরুদ্ধে প্রচারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, "আমাদের দাদাই একাই একশো। তবে মিঠুনদা এলে বাড়তি অক্সিজেন পাব।"
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৮ কিংবা ২৯ মার্চ নন্দীগ্রামে সভা করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এ নিয়ে নন্দীগ্রামে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। একবার মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোটের ঘটনায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার কারণে প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তায় কোন খামতি থাকবে না বলে সূত্রের খবর। দ্বিতীয় দফা ভোটের পূর্বে দুই রাজনৈতিক দলের এই দ্বৈরথ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশেষ নজরে থাকবে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।