শুভেন্দু অধিকারী - অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের যুযুধান চলছেই। এবার শুভেন্দুর কাঁথিতে তারই বাড়ি 'শান্তিকুঞ্জ' র অদূরে সভা করে লাগাতার অধিকারীদের দিকে আক্রমণ শাণালেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কাঁথির এই হাইভোল্টেজ সভার আগে অভিষেককে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন 'দাদার অনুগামী' কণিষ্ক পন্ডা। তাতে পরোয়া না করে সভায় এসে বলেন "আমার এখানে সভা আছে, সাতদিন-আট দিন আগে বলেছিলাম। ফেসবুকে আবার অনেকে ভিডিয়ো ছাড়ছে, যাতে আমি ভয়ে এখানে না আসি। আমাকে ভয় দেখাবে ভাবছে!"
সভায় এসেই "অধিকারী গড়" নিয়ে আপত্তি তোলেন অভিষেক: "অধিকারী গড় আবার কী? এই জেলা একটা পরিবারের না কি? এই জেলা তো মেদিনীপুরের মানুষের।" স্বভাবোচিতভাবেই এদিনও শুভেন্দু ও তার পরিবারকে 'মীরজাফর অ্যান্ড কোম্পানি' বলে সূচিত করে জনতার উদ্দেশে বলেন এত জোরে আওয়াজ তুলুন যাতে শান্তিকুঞ্জ থরথর করে কাঁপে। থ্রেটের পাল্টা থ্রেট দিয়ে হুংকার দেন, "তোর বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি! যা করার কর! আয়’! হিম্মত আছে?" সাথে বলেন আগামী দুমাসে আরও পঞ্চাশবার এই মাটিতে আসবেন ও অধিকারীদের জমানত বাজেয়াপ্ত করবেন।
কিছুদিন আগেই যে বলত বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও, সে আজ বলছে তৃণমূল হটাও দেশ বাঁচাও। অর্থাৎ "ডবল ইঞ্জিন" সরকার হলে চুরি করতে সুবিধা হবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরও বলেন, "এখন আবার আমার সঙ্গে লড়াই না করে আমার বউকে টার্গেট করেছে! বলছে, আমার বউয়ের নাকি এখানে অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে অ্যাকাউন্ট আছে। আরে, আমার বউয়ের কলকাতা ছাড়া কোথাও অ্যাকাউন্ট নেই! আমি তো তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়েছি।" শুভেন্দুর কথার রেশ টেনেই তাকে জবাব দেন, "আমার বউ নাকি দু’বছর আগে এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিল। তোর সিআইএসএফ আর সিবিআই কি নাকে নস্যি দিয়ে ঘুমোচ্ছিল? এয়ারপোর্টে তো ৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। আমি তো চ্যালেঞ্জ করছি। সিসিটিভি-র ফুটেজ থাকলে কেন প্রকাশ্যে আনছ না?" আবারও সুদীপ্ত সেনের চিঠি যাতে শুভেন্দুর ৬কোটি টাকা নেওয়ার কথা লেখা, তা পড়ে শোনান। তোলাবাজির প্রসঙ্গে বলেন প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে যেতেও রাজি। এই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দুকে 'জোকার', 'চারআনার নকুলদানা' সম্বোধনে কটাক্ষ করেন।
আর এসবের উত্তরে ফেসবুকে একটি ছোট্ট পোস্টে শুভেন্দু প্রতিক্রিয়া দেন, "আয় তোর বাপকে গিয়ে বল আমি পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে এখানে আছি, কি করবি করে যা !!' কাঁথির জনসভা থেকে বাংলা সংস্কৃতি !!"