জীবিকার সন্ধানে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই সফর। আর বারবার বিপদের মুখে জীবনের বাজি রেখে লড়াইয়ের অপর নাম সুন্দরবন। অল্প একটু রোজগারের আশায় মধু, কাঁকড়া কিংবা মাছ ধরার তাগিদে একদল মানুষ বারবার পাড়ি দেন সুন্দরবনের (Sundarban) গহীন জঙ্গলে। আর অধিকাংশ সময় দক্ষিণরায়ের কবলে পড়েন তাঁরা। কখনও বাঘের পেটে কিংবা কখনও লড়াইয়ের ময়দানে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসা। এই তো সুন্দরবনের মানুষের জীবন ও জীবিকার ক্রম উত্তরণের অলিখিত ইতিহাস!
আবার একজন সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় আহত হলেন এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুন্দরবনের বেনিফেলি এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন দুই যুবক। শিকারের সন্ধানে আরও গভীর জঙ্গলে গিয়েই বিপদ ঘটল, বলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। চলমান নৌকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। বাঘের হানায় গুরুতর জখম হন লখিন্দর সাঁপুই নামে এক যুবক। অপর যুবক তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গেছে ,আহত যুবকটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলির দেউলবাড়ের বাসিন্দা।
এই নিয়ে গত কয়েক মাসে পরপর এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। কিছুদিন আগেই বাঘের আক্রমণে শঙ্কর ভক্তা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। তিনি পাথরপ্রতিমার জি প্লটের বাসিন্দা। সাত জনের একটি দল কলস দ্বীপের কাছে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় সাত জনের সঙ্গী শঙ্করকে বাঘে টেনে নিয়ে যায়। পরে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ততক্ষণে আর প্রাণ ছিল না। গত মাসেও সাতজেলিয়ার এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বারবার এমন বাঘের আক্রমণের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।