সম্পত্তির লোভে সুপারি কিলার দিয়ে দাদাকে খুন করানোর অভিযোগ উঠল খোদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনা হুগলির শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর এলাকার। অভিযুক্ত ভাইসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুপারি কিলারকেও। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি পুকুর থেকে বছর ৬০ এর গৌতম দাসকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সম্পত্তির কারণজনিত বিবাদেই প্রাণ গিয়েছে গৌতমবাবুর এমনটাই মনে করছেন পুলিশ।
সূত্রের খবর, রাজ্যধরপুরের দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৌতম দাস পাঁচ ভাই এক বোন। এক ভাইয়ের বছর দুয়েক আগে মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে এক ভাই উজ্জল একমাত্র বিবাহিত। তিনি আলাদা বাড়িতে থাকেন। বাকি ভাই-বোনেরা একসঙ্গে থাকেন। রাজ্যধরপুরে গৌতম দাসের পৈতৃক বাড়িতে প্রায় আট কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ওই সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে ভাইবোনদের মধ্যে সামান্য মনোমালিন্য ছিল। পুলিশের দাবি, সেই সম্পত্তি দখল করার লোভে দাদাকে খুনের ছক করে ভাই উজ্জ্বল। দাদাকে খুন করাতে সুপারি কিলার ভাড়া করে সে। পুলিশ জেনেছে, এর আগে দু’টো জমি উজ্জল তার ভাইদের না জানিয়ে বিক্রি করে দেয়। তা নিয়ে অশান্তি ছিল পরিবারে।
গৌতমের ছোটো ভাই উৎপল দাস, দাদার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন শ্রীরামপুর থানায়। তদন্তে নেমে ভাইবোনদের জেরা করতে গিয়ে উজ্জ্বলের কথায় অসংগতি পান পুলিশ। পরে জানা যায়, কৃষ্ণ সরকার নামে এক যুবকের সাথে ২৫ হাজার টাকায় হয়েছিল রফা। বছর তিরিশে কৃষ্ণ আগে থেকেই পুলিশের নজরে ছিল অসামাজিক কাজের জন্য। আর এবার কৃষ্ণকে জেরা করে উজ্জ্বলকে আটক করে পুলিশ। আজ শনিবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হবে বলে খবর।