হাওড়ার লিলুয়ার বামুনগাছিয়ায় এক দম্পতি এবং তার কন্যার পচা গলা দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রী এবং কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত করতে শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, লিলুয়ার বামুনগাছিয়ায় স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে থাকতেন অভিজিৎ দাস। পেশায় ব্যবসায়ী অভিজিৎ এর পরিবারের লোককে বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছিল না কোথাও। শনিবার সকালে তাদের বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বের হতে শুরু করে। তারপরেই পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা।
পুলিশ এসে দরজা ভেঙে প্রথমে ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় অভিজিত বাবুর দেহ উদ্ধার করে। মেঝেতে পড়ে ছিল তার স্ত্রী দেবযানী ও কন্যা সম্রাজ্ঞীর দেহ। প্রতিবেশীরা বলছেন, এলাকায় বেশ নামডাক ছিল অভিজিত বাবুর। মেয়েটি ওই এলাকার নামি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া ছিল। কিন্তু কেন স্ত্রী এবং কন্যাকে হত্যা করে আত্মঘাতী হলেন অভিজিত বাবু, সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেউ কিছু জানতে পারেননি।
বর্তমানে দেহগুলি উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করার জন্য পাঠানো হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। প্রতিবেশীদের এই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। ঘটনায় রীতিমতো থমথমে পরিবেশ এলাকায়।