বাংলার কৃষিক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার দ্বিতীয় দফায় চালু হল ‘কৃষকবন্ধু’ (Krishak Bandhu) প্রকল্প। এদিন নবান্ন সভাঘর থেকে ‘নতুন কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ভার্চুয়াল সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন নবান্ন (Nabanna) থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কেন্দ্রীয় প্রকল্প অর্থাৎ পিএম কিষাণ সম্মান যোজনার সুবিধা সব কৃষক পাচ্ছেন না। বর্গাদার, খেতমজুররাও পাচ্ছেন না। কিন্তু কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সব কৃষককে আনা হয়েছে। খেতমজুরদেরও ভাতা বাড়ানো হয়েছে। দেশের সর্বত্র কৃষক বিক্ষোভ চলছে, কিন্তু বাংলায় কৃষকদের অবস্থা অনেক ভাল।”
প্রসঙ্গত, ভোট প্রচারেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি ফের ক্ষমতায় এলেই কৃষকদের (Farmers) জন্য আরও কাজ করবেন। ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ভাতা বাড়ানো হবে। সেই কথাই মূলত রাখছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই বেশ কয়েকজন কৃষকের হাতে পৌঁছে গেল টাকা। এই প্রকল্পে খেতমজুর, বর্গাদারদের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁরা মাথা পিছু চার হাজার টাকা করে পাবেন। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে কৃষকদের বার্ধক্যভাতাও।
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ৬০ লক্ষ কৃষক। উল্লেখ্য, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ভাতা ৫ হাজার থেকে দ্বিগুণ করার পক্ষে সবুজ সংকেত দেয় মন্ত্রিসভা। তারপর বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিক সূচনা করে টাকা প্রদানের কাজ শুরু করে দেওয়া হল।
এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের আরও সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। তা হল-
১) ৫ হাজারের বদলে এখন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ১০ হাজার টাকা পাবেন চাষিরা।
২) খেতমজুর-বর্গাদাররা পাবেন বছরে ৪ হাজার টাকা।
৩) ৭০ লক্ষ কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ লক্ষ কৃষক পাবেন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড।
৪) রাজ্যের ৬ জেলায় ৫০ হাজার একর প্রতি জমি চাষযোগ্য করা হয়েছে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই ২২টি জেলায় ৯ লক্ষ ৭৮ হাজারের বেশি কৃষককে ২৯০ কোটি টাকার মতো সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অন্যদিকে, যশ দুর্গতের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছানোর কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ণ নিয়ে আগামিকাল শিক্ষা দফতর ঘোষণা করবে। জুলাই মাসের মধ্যে রেজাল্ট বেরিয়ে যাবে।