ভোট-পূর্ববর্তী হোক বা ভোট-পরবর্তী, রাজনৈতিক হিংসার মেজাজ সেই সপ্তমে। চার দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই গণতন্ত্রের নামে খুন-জখম, বোমাবাজি-গোলাগুলির উৎসব চলছে। রেহাই পেলনা গতরাতের নৈহাটিও। এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ করে গুলি চলে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই ব্যক্তি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কান্ডে জড়িত, অভিযোগ বিজেপির। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঠিক কি হয়েছিল গতকাল রাতে? স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২২ তারিখ এলাকায় ভোটের আগে প্রচারকাজে বেরিয়েছিলেন ওই বিজেপি কর্মী। রাস্তাতেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের আশ্রিত গুন্ডারা ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগেও চড়াও হয়ে হুমকি- হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বলে সূত্রের দাবি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে যাবার পরেও বিভ্রাট সৃষ্টি করে ও হামলা চালায় কিছু তৃণমূল কর্মী। বর্তমানে ওই আহত ব্যক্তি কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রতি দফায় ভোটের আগেই এইভাবে বিজেপির উপর হামলা চালিয়ে তাদের লড়াই থেকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে কখনোই রোখা যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্বাবধানে স্বচ্ছভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে এবং বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে।