একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকার এখন পাখির চোখ করেছে চব্বিশের নির্বাচনকে, যেখানে লক্ষ্য হবে দিল্লি দখল। আর এই আবহেই এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে মমতার বার্তা কেবল বঙ্গবাসীর কাছেই আবদ্ধ থাকবেনা, সম্প্রচারিত হবে গোটা ভারত জুড়ে। আগেই ঘোষণা হয়েছিল অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে শোনানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। সূত্রের খবর, এবার সেই রাজ্যগুলির নামের তালিকায় সর্বাগ্রে থাকছে গুজরাট। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে একেবারে আপাদমস্তক রুখে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলকেই ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে গণ্য করা হচ্ছিল। এবার সেই ধারণাকেই পুরোদস্তুর সার্থক করার তাগিদে জোরকদমে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল।
গুজরাটের ৩২টি জেলাজুড়ে ৫০টি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে শোনানো হবে ২১শে জুলাই-এর ভাষণ। শুধুই গুজরাট নয়, দিল্লির বুকেও বাজবে এই বক্তৃতা। এছাড়াও তালিকায় আরও এক চমক লাগানো নাম : যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। ওই দিন বিজেপি শাসিত রাজ্য যেমন ত্রিপুরা, অসমের পাশাপাশি অবিজেপি ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু ও পাঞ্জাবেও শোনানো হবে এই ভাষণ। তৃণমূল সূত্রে খবর, করোনা আবহে বিপুল জমায়েতে একুশে জুলাই পালন করা হবেনা। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে ব্লকে ব্লকে, পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে ২১ জুলাইয়ের বার্তা। জায়ান্ট স্ক্রিন বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য তথা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে যাবে দলনেত্রীর কণ্ঠ। একই সময়েই সম্প্রচারিত হবে ভিনরাজ্যগুলিতেও।