তৃণমূলের শহীদ দিবসের দিন প্রকাশ্যে চলে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হাড়োয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এলাকায় গোলাগুলি চলেছে এবং ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বর্তমানে গুরুতর আহত হয়েছেন। আক্রান্তদের নিয়ে আসা হয়েছে আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা। বাকিদের হাড়োয়া হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। এদের মধ্যে একজন হলেন বছর ৬২ এর লক্ষ্মী বালা মন্ডল। তৃণমূলের এক কর্মী-সমর্থকদের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারান এই বৃদ্ধা। অন্যদিকে আরো একজন হলেন ২৮ বছর বয়সে সন্ন্যাসী সরদার। ঘটনাস্থলে বুকে গুলি লাগে তার। তৎক্ষণাৎ তাকে হাড়োয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই ঘটনায় কোনো রকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রসঙ্গে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, একুশে জুলাই এর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য তাদের সকলের শুনতে পারেন সেই জন্য জায়েন্ট স্ক্রীন লাগানো হয়েছিল ওই এলাকায়। এই সময় তাদেরকে সাহায্য করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস রায়। পরবর্তীতে একুশে জুলাই এর ভাষন শেষ করে বাড়ি আসার পথে হঠাৎ করেই তাপস রায়-এর অনুগামীদের উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। সূত্রের খবর সেই সময় ওই জায়গায় সম্পূর্ণ হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় পদপিষ্ট হয়ে মারা যান লক্ষ্মী বালা মন্ডল। অন্যদিকে সরাসরি বুকে গুলি লাগে সন্ন্যাসী সরদার এর। দুই জনের মৃত্যুতে কার্যত শোকোস্তব্ধ হাড়োয়া।