রাজ্যের পড়ুয়াদের (West Bengal Students) জন্য বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা মেয়েদের জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে বাংলায় (West Bengal)। তেমনই সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধার্থে রাজ্য সরকার 'ঐক্যশ্রী' প্রকল্প চালু করেছিল। তবে এবার এই 'ঐক্যশ্রী' প্রকল্পে ধরা পড়ল লক্ষ লক্ষ আবেদন। সূত্রের খবর, লক্ষ লক্ষ ভুয়ো আবেদন জমা পড়েছে ঐক্যশ্রীতে। আর তাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের।
এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ডিআই’দের দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে বিত্ত নিগম। সমস্ত তথ্য যাচাই করে, ভুয়ো আবেদনপত্র অতি শীঘ্রই খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছে বিত্ত নিগম।
বিত্ত নিগম সূত্রের খবর, প্রায় ১৫ লক্ষ ভুয়ো আবেদন জমা পড়েছে ঐক্যশ্রীতে। অন্যদিকে, এত পরিমাণ আবেদন ভুয়ো হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা। এর মধ্যে আবার দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। এ নিয়ে মন্তব্য করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। বলেন, "পড়ুয়াদের স্কলারশিপ থেকে শুরু করে ঋণ দেওয়া সরকারের সমস্ত প্রকল্পে দু-নম্বরি করা হচ্ছে।" এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "রাজ্যের যত শ্রী এবং সাথী প্রকল্প রয়েছে তার বেশিরভাগই দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে।"
প্রসঙ্গত, মেধা থেকেও যাতে শুধু অর্থের কারণে পড়াশুনা না বন্ধ হয়ে যায় সেদিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য চালু হয়েছিল ঐকশ্রী প্রকল্প। শুধু মুসলিম নয়, ক্রিষ্টান, বুদ্ধিষ্ট, পার্সি এবং জৈন সংখ্যালঘু পড়ুয়ারাও এই স্কলারশিপের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন।