উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে কৃষকদের হত্যা করা প্রসঙ্গে এবারে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, কোন বিজেপি রাজ্য এই গণতান্ত্রিক কোন ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। বিজেপি সব জায়গায় অগণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে কাজ করা শুরু করেছে। যেখানে যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে সেই সব রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। এই সমস্ত করে ভারতীয় জনতা পার্টি কাউকে কোন কথা বলতে দিচ্ছেনা। মানুষের প্রতিবাদ করার ভাষা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
তিনি আরো বললেন, "বিজেপি সরকার অত্যন্ত অমানবিক। বিজেপি যেসব জায়গায় রয়েছে সেখানে কোন মানবিকতা চলে না। নির্মমভাবে কৃষকদের হত্যা করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হচ্ছে, ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে যেন কৃষকদের সঙ্গে তাদের পরিবার দেখা করতে না আসতে পারে। এর আগেও আমরা দেখেছিলাম এরকমই হয়েছে। যখন হাথ্রসের ঘটনাটি ঘটেছিলো তখন আমাদের টিমকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এবারেও সেরকমই করার চেষ্টা হচ্ছে। আসামেও আমরা বাধা দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। সেখানেও ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের তরফ থেকে সরকারকে একটা ১৪৪ ধারা জারি করা উচিত।"
যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফা দেওয়া উচিত? এই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "ইস্তফা তো অবশ্যই দেওয়া উচিত। তিনি এইসব ঘটনা ঘটার পরেও রামরাজ বলে যাচ্ছেন। এটা রাম রাজ? এটা তো কিলিং রাজ! নিজে আগে বয়স্ক কৃষকদের হত্যা করছেন তারপর আবার নিজেই জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার রাতের দিকে একটি টুইট বার্তা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "উত্তরপ্রদেশের লক্ষিম্পুর খেরির বর্বরোচিত ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপির এইরকম উদাসীনতায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত। আগামীকাল তৃণমূলের ৫ সাংসদের একটি প্রতিনিধিদল মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। আমাদের কৃষকদের প্রতি সর্বদা নিঃশর্ত সমর্থন রয়েছে।"