তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সারা ভারত জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। ৪০ টির বেশি সংগঠন নিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার (Sangyukt Kishan Morcha) নেতৃত্বে আজ গোটা দেশে সকাল ৬ টা থেকে শুরু হয়েছে ভারত বনধ (Bharat Bandh)। চলবে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই বনধের প্রভাব শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সকাল থেকেই দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। এরফলে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি কোন যান চলাচল করতে পারছে না বলে খবর। আগেই বলা হয়েছে, সংযুক্ত কিষান মোর্চার এই বনধ দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হবে। বন্ধ থাকবে সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারখানা, দোকান, বাজার। তবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কার্যকলাপ সচল থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা।
সারা ভারত জুড়ে চলা এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছিল বামেরা। তার জেরে এ রাজ্যেও যে এর প্রভাব পড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। সকাল থেকেই কলকাতায় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কিছু জায়গায় বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে। যার জেরে যাদবপুর, শ্যামনগরে সকাল থেকে চলছে অবরোধ। হুগলির বিভিন্ন জায়গায় বনধ সমর্থনে পথে নেমেছেন বামেরা। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে বনধের সমর্থনে সকাল থেকেই যান চলাচল বন্ধ, বন্ধ দোকানপাট। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি ব্লকের ভুবনেশ্বরী স্কুল মোড়ে চলছে ভারত বনধের কর্মসূচি। হুগলির পান্ডুয়াতে চলে রেল অবরোধ।
এদিন হরিয়ানা সীমান্তে অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভোজিৎ সিং সিধু এই বনধ সমর্থন করে টুইট করেছেন। নিজের কর্মী সমর্থকদের এই বনধ সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী এই বনধ সমর্থন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, "এই তিনটি কালা আইন মানেন না। গত দশ মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলন তিনি সমর্থন করেন।" দিল্লিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। চলছে পুলিশি টহলদারি। দিল্লির তিনটি সীমান্ত থেকে বিক্ষোভকারীরা যাতে ঢুকতে না পারেন, সেদিকে বাড়তি নজরদারি রয়েছে।
সংযুক্ত কিষান মোর্চার এই সারা ভারত জুড়ে বনধ সমর্থন করেছে বামেরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বনধের দাবিগুলোর নৈতিক সমর্থন থাকলেও তিনি যে বনধ সমর্থন করেন না, একথা আগের দিন জানিয়েছিলেন। তাই রাজ্যে বনধের আংশিক প্রভাব বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। তারপরও উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বনধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ। যদিও উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় জোর করে বাস আটকানোর অভিযোগ উঠেছে বনধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। যাদবপুর ও শ্যামনগর স্টেশনে রেল আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বনধ সমর্থনকারীরা রেল ট্রাকে বসে পড়েন। কেন্দ্রের এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চলে বিক্ষোভ।