করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতেও (Pandemic) আট দফা (8th Phase) ভোট, চলেছে দেদার প্রচার। বাইরের রাজ্য থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জনসভায় উপছে পড়েছিল ভীড়। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি, ভোটের এই আয়োজন নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। এরপরেও মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতিতে নজর না দিলে বন্ধ করা হবে ভোট গণনা। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
আর তাই নিজেদের তরফ থেকে পরিস্কার থাকতে চাইছে কমিশন। সেই মোতাবেক এবার নিজেদের ভাবমূর্তি ‘স্বচ্ছ’ করতে, হাইকোর্টেরই দ্বারস্থ কমিশন। তাঁদের মত, মিডিয়ার কারণেই নাকি কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিডিয়ার কাজে লাগাম টানার সাথে, সংবাদমাধ্যম যেন আদালতের শুনানির সময় বিচারপতির মৌখিক পর্যবেক্ষণ দেখে মন্তব্য না করে, তা নিয়ে আবেদন জানাল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের তরফে আরও বলা হয়, "স্বাধীন সাংবিধানিক এজেন্সি হিসেবে দেশে নির্বাচন করানোর দায়িত্ব থাকে কমিশেনর উপর। কিন্তু মিডিয়ার খবর সেই কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।" তবে শুধু সংবাদমাধ্যমের নামে নালিশ করা ছাড়াও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা নিজেদের কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, এমনটাও মত কমিশনের।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন রেকর্ড ভেঙেছে সংক্রমণ। তবুও প্রচারে ছিল তুমুল ভীড়। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন হয়। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে গত ৬ এপ্রিল নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আটদফা ভোট চলেছে। গতকালই পশ্চিমবঙ্গে ভোট শেষ হয়েছে, তবে এখন করোনাক্রান্তের সংখ্যা হাতের বাইরে। এই নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট শুধু কমিশনকে নয়, কেন্দ্রকে আক্রমণ করেও বলেছিল, "সংক্রমণ রুখতে গত ১০-১৫ মাস কী করেছে কেন্দ্র? কোনও বিশেষজ্ঞর সঙ্গে আলোচনা করেছিল?" যদিও এনিয়ে কেন্দ্রের সাফাই ছিল, এভাবে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে, তা নাকি বোঝাই যায়নি।