ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মতো সমাজমাধ্যম এখন আমাদের জীবনের অঙ্গ। ঘরে বসে যে কোনও সময় দুনিয়ার হাল-হকিকত জানা, মতামত প্রকাশ, মুহূর্তের মধ্যে জটিল প্রশ্নের উত্তর কিংবা হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনের নাগাল পাওয়া-- সবই সম্ভব হচ্ছে সমাজমাধ্যমের কল্যাণে।
আবার এই সমাজমাধ্যমে জমা হওয়া তথ্য ব্যবহার করে ভোটারদের মানসিকতা,পছন্দ-অপছন্দ জেনে নিচ্ছে ভোটবাজ রাজনৈতিক দলগুলো। অনেক সময় ক্ষমতার উগ্র লোভে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ বাধাতে বেপরোয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে মিথ্যে খবর, ভুয়ো অডিও বা ভিডিও।
তথ্য বলছে গত দেড় বছরে ফেসবুকে নিজেদের প্রচারে সর্বোচ্চ খরচ বিজেপির -- ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কংগ্রেস সহ অন্যরাও পিছিয়ে নেই। গত ভোটে বিজেপির ক্ষমতায় আসার পিছনে সমাজমাধ্যমের ভূমিকার কথা তো সর্বজনবিদিত। ২০১৮-র ২২ সেপ্টেম্বর দলীয় সভায় অমিত শাহ নিজেই স্বীকার করেছেন, দরকার মতো কীভাবে খবরকে তাঁরা ভাইরাল করেন, সে খবর সত্যি হোক বা মিথ্যে। ভোট এলেই দলকে জেতাতে প্রচুর সিম কিনে প্রোফাইল খুলে সমাজমাধ্যমে এলাকার মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে প্রচার চালানো এখন সাধারণ ঘটনা।
সঙ্গে চলেছে ভোটেরই লোভে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মিথ্যে প্রচার, অনেক সময় যা সাম্প্রদায়িকতার আগুন জ্বালাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। মরছে সাধারণ মানুষ। বহু বার ফাঁস হয়ে গেলেও এই নীতিহীন কার্যকলাপ বন্ধ করতে প্রশাসনকে বিশেষ সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। ফুল ফোটানোর পাশাপাশি বিষ ছড়াবার কাজটিও করে চলেছে সমাজমাধ্যম।