দিল্লীর নাঙ্গালে দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন এবং তার মৃতদেহ গোপনে দাহ করে দেওয়ার ঘটনায় গর্জে উঠেছিল সমগ্র দেশ। সমস্ত বিরোধী নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন রাহুল গান্ধীও। তবে এর মাঝেই তিনি তাঁর একটি টুইটে ধর্ষিতা নাবালিকার পরিজনদের ছবি পোস্ট করেন। যার জেরেই সাময়িক সময়ের জন্য তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করল টুইটার।
প্রসঙ্গত, বুধবারে রাহুলের ঐ বিতর্কিত ছবিটি ছাড়ার পরই তা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয় সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে। বৃহস্পতিবারই তাঁর ছাড়া ছবির বিরুদ্ধে দিল্লী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন দিল্লীবাসী আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। তাঁর অভিযোগের মুল বক্তব্য ছিল, রাহুল তাঁর পোস্টে ধর্ষিতা নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে দিয়েছেন। ছবিটিতে রাহুলকে নাবালিকার বাবা ও মায়ের সাথে গাড়ির ভিতর বসে থাকতে দেখা যায়। সে জন্যই তাঁদের পরিচয় প্রকাশ হয়ে গেছে বলেই দাবী করেন ঐ আইনজীবী।
এই ঘটনার পরই, বৃহস্পতিবার, ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশান অফ চাইল্ড রাইটস(এনসিপিসিআর) টুইটার ইন্ডিয়ার কাছে রাহুলের বিরুদ্ধে পসকো আইনের মারফত এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহনের নোটিশ পাঠায়। আর তার জেরেই সাময়িকভাবে বন্ধ রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট। এই বিষয়ে কংগ্রেসের তরফ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, “শ্রী রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট অস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে এবং তা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থাও চলছে। ততক্ষণ, তিনি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে সকলের সাথে যোগাযোগ রাখবেন এবং মানুষের হয়ে, তাঁদের চাহিদার লড়াই চালিয়ে যাবেন। জয় হিন্দ!”