চলতি মাসের শুরু থেকে করোনা ভাইরাসের নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে সংক্রামিত হতে শুরু করেছিল। মাসের শেষ পর্যায়ে এসে পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ। এত মানুষ একসাথে আক্রান্ত হওয়ায় রীতিমতো ধ্বস নেমেছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতে। অক্সিজেন ঘাটতিতে ভুগছে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আজ মন্ত্রিগোষ্ঠীর সাথে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অক্সিজেন তৈরির উপকরণ সরবরাহ সরঞ্জামের আমদানিতে শুল্ক ও স্বাস্থ্য সেস মুকুব করবে কেন্দ্র। আগামী তিন মাস এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। এর ফলে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম অনেকটাই কমে যাবে। আসলে সরবরাহ সস্তা হলে দাম কমা অবধারিত।
অন্যদিকে গোটা দেশের পাশাপাশি বেহাল অবস্থা বাংলাতেও। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করেছে। এই মুহূর্তে শহরে অক্সিজেনের অভাব দেখা যাচ্ছে রাজ্যে। তাই শহরে অক্সিজেন সিলিন্ডারে কালোবাজারি রুখতে এক বিশেষ টিম তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ। আসলে বাজারে হঠাৎ করে অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব দেখা যাচ্ছে এবং পুলিশ অনুমান করছে যে বহু ওষুধের দোকান অক্সিজেন সিলিন্ডার এখন বিক্রি করতে চাইছে না। আসলে দশ লিটারের একটু বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যায় ৪৫০০ টাকা থেকে ৬৫০০ টাকার মধ্যে। তবে এখনো অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের নিজের ইচ্ছামত দাম হাঁকিয়ে বসছে। কিন্তু এবার কালোবাজারি রুখতে পথে নামছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম। তাঁরা বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ওষুধের দোকান গুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ সম্বন্ধে খোঁজ নেবে। তারপর তাঁরা কোন দোকানে কত অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে তার একটি তালিকা তৈরি করবে, যাতে না কালোবাজারি করা যায়।