শুক্রবার দিনদুপুরে দিল্লির রোহিণী আদালতে গুলির বৃষ্টি। যার জেরে মৃত অন্তত তিনজন। সূত্রের খবর, আইনজীবীর পোশাকে আদালত চত্বরে এসেছিল আততায়ীরা। তাদের নিশানায় ছিল গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগী। এদিন আদালতে পেশ করার জন্য জিতেন্দ্রকে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রান হারালেন জিতেন্দ্র গোগী। পাল্টা পুলিশের গুলিতেও মৃত্যু হয়েছে দুই আততায়ীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পিছনে গোগীর বিরোধী টিল্লু গ্যাংয়ের হাত থাকতে পারে।
সূত্রের খবর, এদিন আদালতের ২০৭ নম্বর রুমে বিচারক গগনদীপ সিংয়ের এজলাসে চলছিল মামলার শুনানি। এমন সময় আচমকাই কোর্টরুমের ভিতরেই শুরু হয় গুলিবাজি। বিচারকের থেকে মাত্র এক মিটার দুরেই হতে থাকে এমন কাণ্ড। ঘটনাস্থলেই আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয় জিতেন্দ্র গোগী। দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। যার জেরে দুই টিল্লু গ্যাংয়ের দুই হামলাকারীও নিকেশ হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত তিন-চারজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা জানিয়েছেন, দুদিন আগেই গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই উকিলের বেশে হাজির হয়েছিল আততায়ীরা। তারা কোর্টরুমের ভিতরেই জিতেন্দ্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে জিতেন্দ্রর। তবে জিতেন্দ্র গোগীর সাথে থাকা স্পেশাল সেলের একটি দল ছিল। তাঁরা দুষ্কৃতীদের হামলার প্রত্যুত্তর দেন। তাঁদের গুলিতে প্রান হারিয়েছে দুই আততায়ী।
যদিও দিনে-দুপুরে দেশের রাজধানীতে, আদালতের ভিতরে এমন কাণ্ড ঘটায় পুলিশ এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।