জ্যোমাটো কান্ডে নয়া মোড়। খাবার পনেরো মিনিট দেরিতে পৌঁছানোর জন্য জোম্যাটো বয়ের সাথে বির্তকে জড়িয়ে খবরের শীর্ষে ওঠা ইনফ্লুয়েন্সার হিতেশা হঠাৎই নিজের বাসভবন ছাড়লেন!
হিতেশা প্রথমে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তাঁর বয়ানের পরিপ্রেক্ষিতে। এরপরেই সকলেই চড়াও হয় কামরাজের ওপর। চাকরি যায় তাঁর। মাথার উপর ওঠে এফআইআর। তবে কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসে, কামরাজের বয়ান। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ার ছন্দপতন।
এরপরেই হিতেশা যে থানায় অভিযোগ দায়ের করে, সেই একই থানায় হিতেশার বিরুদ্ধে কামরাজ অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, ওই তরুণী তাকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন। জুতো ছুঁড়েও মারেন। আর জুতো ছুঁড়ে মারতে গিয়ে নিজের হাতের আংটিতে তরুণীর নাকে গিয়ে লাগে। ফলে এই দূর্ঘটনা ঘটে যায়।
আর বিষ্ময়কর ভাবে তার পর দিনই ব্যাঙ্গালুরু ছেড়ে পালিয়ে যায় হিতেশা। পুলিশ হিতেশার বাসভবনে গেলে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
এরপর পুলিশের সাথে হিতেশার ফোনে কথা হলে, হিতেশা জানায় সে তাঁর বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে নাকি তাঁর ব্যাঙ্গালুরুর বাড়ির ঠিকানা ফাঁস হয়েছে। আদতে এ তথ্য মিথ্যা, পুলিশ কামরাজের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেন হিতেশা স্পষ্ট জানায়, সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত থাকতে পারবে না।
সংবাদমাধ্যমে এমন কথা ভরে গেলেও, হিতেশা নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বলেন, 'বেঙ্গালুরু আমার কাছে আমার নিজের এলাকা। আমি বেঙ্গালুরু ছেড়ে কোথাও যাইনি। আমি পুলিশের সাথে সহযোগীতা করছি, যাতে তদন্তের পর আসল সত্য উঠে আসে।' পাশাপাশি হিতেশা আরও দাবি করেন, অনলাইন প্লাটফর্মে হিতেশা নানান কটূক্তির শিকার হচ্ছে। নানান কুরুচিকর মেইল পাচ্ছেন, আর তাই নিজের সুরক্ষার জন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন।
এরপরেই নেটিজেনদের দাবি, এমন মিথ্যা বয়ান দিতে পটু হিতেশাকে বিগবসে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। বিগবসের ঘরে তাহলে জয় হবে হিতেশার।