অবশেষে গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরপুরী হামলার মাস্টারমাইন্ড। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) অপরাধ দমন শাখা জাহাঙ্গীরপুরী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অন্যতম অভিযুক্তকে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক (Tamluk) থেকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তের নাম ফরিদ ওরফে নিতু। পুলিশ জানিয়েছে, খুব সক্রিয়ভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত ছিল সে এবং এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডের কাজ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন করা পুলিশের বেশ কয়েকটি দল বৃহস্পতিবার তাকে তমলুক এলাকায় তার মামার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
সংঘর্ষের পর থেকে বারংবার পালিয়ে বেড়াচ্ছিল এই অভিযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গে এসেও এক জায়গায় সে থাকেনি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ফরিদ। তার বিরুদ্ধে ২০১০ সাল থেকে ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্র আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে এবং সে জাহাঙ্গীরপুরী এলাকার ত্রাস। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পরে তাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তী মিছিল চলাকালীন হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আট পুলিশকর্মী এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। এক গোষ্ঠীর দাবি, শোভাযাত্রা চলাকালীন ইঁট পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। অপর গোষ্ঠীর আবার দাবি, শোভাযাত্রা থেকেই স্থানীয় দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়, মসজিদে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা। অন্যদিকে পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের সময় পাথর ছোঁড়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়। সহিংসতার কয়েকদিন পরে, দিল্লি পুলিশ এই মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা করে। এর মধ্যে উঠে আসে দুজন বাঙালির নামও। ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ মহম্মদ আসলামের পশ্চিমবঙ্গের নাম জুড়েছিল। জানা যায়, তিনি আসলাম হলদিয়ার ডোকারের বাসিন্দা।