মাত্র ২৩ বছর বয়সেই অলিম্পিকের মতো আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ইভেন্ট থেকে প্রথমবারেই রৌপ্য পদক ছিনিয়ে এনেছেন ভারতীয় কুস্তিগির রবি কুমার দহিয়া। তবে এবার এই চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগিরের মুকুটে জুড়তে চলেছে আরও একটি পালক। নাহ, এবার কোনও খেলোয়াড়ি পুরস্কার নয় (কারন খেলার সবথেকে বড় পুরস্কারটি তিনি ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন), এই পুরস্কার একটু অন্যরকমের। রবি কুমার দহিয়ার নামে নাম হতে চলেছে একটি বিদ্যালয়ের। দিল্লীর আদর্শ নগর এলাকায় একটি স্কুলের নতুন নাম হতে চলেছে এই কুস্তিগিরের নামে। মঙ্গলবারই দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদয়া এই ঘোষণাটি করেন। প্রসঙ্গত, পদকজয়ী কুস্তিগির এই স্কুল থেকেই তাঁর পড়াশোনা সম্পন্ন করেছিলেন।
এ বিষয়ে তিনি এদিন টুইট করে বলেন, “অলিম্পিক পদক বিজেতা রবি কুমার দহিয়া-কে আজ তাঁর আদর্শ নগরের স্কুলে অভ্যর্থনা জানানো হল। এটি তাঁর শিক্ষকদের জন্য খুবই আবেগপ্রবন মুহূর্ত”। পাশাপাশি তিনি টুইটে এও লেখেন যে, সরকার ঠিক করেছে, এবার থেকে কুস্তিগিরের সম্মানে ঐ বিদ্যালয়ের নাম হবে ‘রবি দহিয়া বাল বিদ্যালয়’।
উল্লেখ্য, রবি কুমার দহিয়া টোকিও অলিম্পিক ২০২০-র কুস্তি বিভাগে রৌপ্যপদক অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের ইতিহাসের দ্বিতীয় কুস্তিগির, যিনি কিনা অলিম্পিকে রূপো পেয়েছেন(প্রথম সুশীল কুমার)। শুধু দহিয়া-ই নন, এবছর অলিম্পিকে বাকি ভারতীয় খেলোয়াড়দেরও দারুন লড়াই করতে দেখা গেছে। টোকিও অলিম্পিকের শেষে ভারতের ঝুলিতে রয়েছে ৭টি পদক, যার মধ্যে একটি সোনা এবং দুটি রূপো। এবছর প্রথম ভারতীয় হিসাবে অলিম্পিকে পদক ছিনিয়ে নেন মনিপুরের ভারত্তোলক মীরাবাঈ চানু।