কেবল সন্দেহের বশে গোরক্ষক (Gau Rakshaks) বাহিনীর তাণ্ডবে প্রাণ গেল একজন নিরীহ গো-পালকের। কেবল গো-পালক নন, গোটা ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচ-ছ'জন ব্যক্তি। ঘটনাটি খোদ রাজধানী দিল্লির (Delhi) দ্বারকা এলাকায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গোটা ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গো-হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে, কিন্তু কেবল সন্দেহের বশে গো-পালকের খুন কিংবা আরও বেশ কয়েকজনের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
দিল্লির দ্বারকা এলাকায় রাজারাম নামের বছর ৪০-র ব্যক্তি একটি ফার্ম হাউসে কাজ করতেন। ফার্ম হাউসটি পাঞ্জাবের একজন ডাক্তারের। তিনি এই ফার্ম হাউস থেকে স্থানীয় এলাকায় দুধ বিক্রি করতেন। এভাবেই তাঁদের সংসার চলত। আচমকাই অভিযোগ ওঠে এই ফার্ম হাউসের আড়ালে তিনি গো-হত্যার সঙ্গে জড়িত। আচমকাই স্থানীয় এলাকার ১০-১৫ জন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা নিজেদের গোরক্ষক বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেয়। কেবল রাজারাম নন, আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত রাজারামকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই তিনি প্রাণ হারান বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? রাজারামের স্ত্রী যশ দেবী জানিয়েছেন, সোমবার রাতে আচমকাই তাঁর স্বামীর মোবাইলে একটি কল আসে। তৎক্ষণাৎ তিনি বেরিয়ে যান। সেটাই শেষ দেখা। আমরা জানি না কী তাঁর অপরাধ। একদল যুবক এল। মারতে মারতে তাঁকে আধমরা করে ফেলল। স্থানীয় লোকজন আমাদের নামে গুজব রটিয়েছে। আমাদের দুধ বেচে সংসার চলত। ঘরে চারজন ছেলেমেয়ে। এবার কীভাবে সংসার চলবে জানি না! আমরা গো-হত্যার সঙ্গে জড়িত নই। আমরা তো দুধ বেচে জীবন চালাতাম।
ঘটনায় ইচ্ছাকৃত হামলা চালিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দায়ের হয়েছে এফআইআর। যদিও রাজারাম হত্যার জন্য কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। সূত্রে খবর, পুলিশ গো-হত্যার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।