Mohun Bagan Day: মরণোত্তর "মোহনবাগান রত্ন" সম্মান পেলেন শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়
অমর একাদশের স্মৃতিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে ১৯১১ সালের রেপ্লিকা জার্সি প্রকাশ করা হয়েছে
আজ ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার মোহনবাগান দিবস (Mohun Bagan Day) উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। করোনা (Corona) সংক্রমনের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সভ্য সমর্থক এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল ক্লাব তাঁবুতে। সেই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্মরণে ও বরণে শ্রদ্ধা জানানো হল প্রাক্তন গোলকিপার শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shibaji Banerjee)। তাঁকে ক্লাবের পক্ষ থেকে এই বছর মরণোত্তর "মোহনবাগান রত্ন" সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। আসলে, ১৯১১ সালে আজকের দিনে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্ট দলকে ১-২ গোলে পরাজিত করে প্রথমবার আইএফএ শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। সেই উপলক্ষে আজকের অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক শিল্ড জয়ী দলের জার্সির রেপ্লিকা উন্মোচিত হল। জার্সির রং ও ডিজাইন হুবহু মেলাতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে বলে জানিয়েছেন মোহনবাগান কর্তারা। আগামী ২০ আগস্ট গোষ্ঠ পালের জন্মদিন থেকে এই বিশেষ জার্সি পেয়ে যাবেন মোহনবাগান সমর্থকরা।
আজকের অনুষ্ঠানে বারংবার কথা উঠেছে গোলকিপার শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে এক সময় "পেনাল্টি বাঁচানোর রাজা" বলে অভিহিত করা হত। তবে মোহনবাগান কর্তারা শুধু তাঁকে "পেনাল্টি বাঁচানোর রাজা" মনে করেন না। বরং তারা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়কে "সেরা গোলকিপার" হিসেবে সন্মান জানান। আজকের অনুষ্ঠানে শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় জায়া মালা দেবীর হাতে "মোহনবাগান রত্ন" স্মারক তুলে দেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী মালা দেবী জানিয়েছেন, "ভাল অ্যাথলিট ছিলেন শিবাজী। ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স এবং ফুটবলে সমানভাবে পারদর্শী ছিলেন তিনি। তিনি ফুটবল সম্রাট পেলের পা থেকে বল তুলে নিয়েছিলেন কসমস ক্লাবের বিরুদ্ধে । এমনকি ওরকমভাবে বল ছিনিয়ে নেওয়ায় পেলে পরে পেলে তাঁকে বলেছিলেন যে আর ইউ ক্রেজি? চোট লেগে যেতে পারত তোমার।"
এছাড়া ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বসু বলেছেন, "শিবাজীদা অন্যতম সেরা গোলকিপার ছিলেন আমার চেনা। কিন্তু উনি মানুষ হিসেবে খুবই বড় মাপের ছিলেন।" স্মৃতিচারণ করে শিবাজীপুত্র শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "বাবা আজ জীবিত থাকলে এই সম্মান নিতেন কিনা জানি না। কারণ তিনি নিজেকে কিংবদন্তি বলে মনে করতেন না। তাঁর চোখে কিংবদন্তির সংজ্ঞাটা অন্য। মোহনবাগান ক্লাব পরিবার ছিল। পরিবারের কাছে এরকম স্বীকৃতি পাওয়াটা আমাদের সকলের কাছে খুবই গর্বের।"