হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে সহজ ম্যাচে কঠিন জয়, বজায় থাকল কলকাতার প্লে অফে ওঠার সমীকরণ
এসআরএইচ-এর ১১৫ রানের বিনিময়ে ১৯.৪ ওভারে ১১৯ রান করে কেকেআর
আইপিএলের ৪৯তম ম্যাচে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। প্রথমজনের প্লে অফে ওঠা ম্যাচ হারা-জেতার উপর নির্ভরশীল। অন্য জনের প্লে অফে ওঠার আশা না-বরাবর। আর রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় এই দুই দলের মধ্যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ খেলার সাক্ষী রইল ক্রিকেটপ্রেমীরা। লো স্কোরিং ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত গড়াল খেলা। এসআরএইচ-এর ১১৫ রানের বিনিময়ে ১৯.৪ ওভারে দীনেশ কার্ত্তিকের অনবদ্য চারের সুবাদে প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল মর্গানের দল।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে বোলিংবান্ধব পিচে আজ বোলিংয়ের শুরু থেকেই আগুনের গোলা বর্ষাতে শুরু করেন কেকেআরের বোলাররা। আগের ম্যাচে রাসেলের পরিবর্ত হয়ে আসা টিম সাউদি ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় বলেই তুনে নেন ঋদ্ধিমান সাহার (০) উইকেট। দলের ১৬ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের। ১০ রান করে শিভম মাভির বলে আউট হন জেসন রয়। দলের ৩৮ রানে শাকিবের ছোঁড়া বলে দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হন ক্যাপ্টেন কেন (২৬)। ৩১ বলে ২১ রান করে মিস্ট্রি স্পিনার বরুন চক্রবর্তীর বলে রাহুল ত্রিপাঠির হাতে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন প্রিয়ম গর্গ। এরপর উইকেট পতনের গতিবেগ বাড়তে থাকে এসআরএইচ-এর। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১১৫ রান তুলতে সক্ষম হয় হায়দ্রাবাদ। দুটি করে উইকেট তুলে নেন সাউদি, মাভি এবং চক্রবর্তী। একটি উইকেট পান সাকিব-আল-হাসান। অত্যন্ত কৃপণ বোলিং করেন নারিনও। চার ওভারে মাত্র ১২ রান দেন তিনি। যদিও কোনও উইকেট পাননি তিনি এদিন।
অন্যদিকে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় কেকেআর। জেসন হোল্ডারের বলে ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান কলকাতার সুপারস্টার ওপেনার ভেঙ্কি আইয়ার। ৩৮ রানে পতন হয় দ্বিতীয় উইকেটের। ৬ বলে মাত্র ৭ রান করে রশিদ খানের বলে অভিষেক শরমার হাতে ক্যাচ তুলে ঘরে ফেরেন রাহুল ত্রিপাঠি। হায়দ্রাবাদের কৃপণ বোলিংয়ের সৌজন্যে একটা সময় ১১৫ রানের সামান্য লক্ষ্যকেও ভেদ করা বেশ দুর্গম মনে হচ্ছিল কলকাতা সমর্থকদের কাছে। যদিও ১১ তম ওভারের পর ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন গিল, নিশীথ। যদিও ম্যাচের ৯৩ রানের মাথায় গিলের (৫৭) উইকেট হারায় কেকেআর। কিছুক্ষণের মধ্যে অবিবেচকের মতো হাওয়ায় বল তুলে ঋদ্ধিমানের হাতে ক্যাচ তুলে ঘরে ফেরেন নিশীথ রানাও (২৫)। ম্যাচের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে ইনিংস শেষ হওয়ার তৃতীয় বলে অনবদ্য চার হাঁকান দীনেশ কার্ত্তিক। তাঁর মুল্যবান চারের সুবাদে দু’বল বাকি থাকতেই চার উইকেটের বিনিময়ে ১১৯ রান তুলে নেয় কেকেআর। হায়দ্রাবাদের তরফে দুটি উইকেট পান জেসন হোল্ডার। একটি করে উইকেট পান রশিদ খান এবং সিদ্ধার্থ কল। ম্যাচের সেরা শুভমান গিল।
এই ম্যাচের পর কলকাতার পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১২। বাকি রয়েছে আরও একটি ম্যাচ। প্লে অফে ওঠার জন্য সে ম্যাচেও জিততে হবে মর্গানদের। প্লে অফে ওঠার দৌড়ে রাজস্থান এবং মুম্বাই থাকলেও নেট রান রেটের বিচারে অনেকটাই এগিয়ে কলকাতা। আগামী ৭ তারিখ শেষ ম্যাচে কলকাতার মুখোমুখি হবে রাজস্থান রয়্যালস। সে ম্যাচে জিততে পারলেই খুলে যাবে কলকাতার প্লে অফ খেলার দরজা।