২ ভারতীয়ের জোড়া অর্ধশতরান, আইপিএলের দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বাইকে হেলায় হারালো কলকাতা
লীগ তালিকায় ৪ নম্বরে উঠে এলো ইয়ন মরগানের দল
আইপিএল ২০২১ এর প্রথমার্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্স তেমন একটা ভালো খেলতে পারছিল না। প্রথম দিক থেকেই তাদের ব্যাটিং এবং বোলিং দুটো ইউনিটই একেবারে খারাপ পারফর্মেন্স করছিল। কিন্তু, আইপিএলের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন একদম উলট পুরাণ। রীতিমত ভোল বদলে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এতদিন আইপিএলে একতরফা দাপট দেখা যেত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। কিন্তু, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে গিয়ে সেই দাপট একেবারে হারিয়ে গেল রোহিত শর্মার দলের। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে পরাজয় তো ছিলই। এবারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছেও ৭ উইকেটে হারলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বাইকে হেলায় হারিয়ে সোজা লীগ তালিকার চতুর্থ স্থানে পৌঁছে গেল মরগানের কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আজকের জয়ের মূল কারিগর ছিলেন ২ ভারতীয় ব্যাটসম্যান নবাগত ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং বহুদিনের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান রাহুল ত্রিপাঠী। দুজনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির উপরে ভর করে মুম্বাইকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার সাথে অবশ্যই কৃতিত্ব প্রাপ্য বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিন এবং লকি ফার্গুসনদের বোলিংয়ের। আজকে আবুধাবিতে সন্ধের ম্যাচে টস জিতে মুম্বাইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগান। পাওয়ার প্লে চলাকালীন ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান তুলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কুইন্টন ডি কক এবং রোহিত শর্মা একটি দুর্দান্ত ওপেনিং পার্টনারশিপ করেন।
কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতে না হতেই ইনিংস একেবারে ভেঙে পড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। শেষের দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন কায়রন পোলার্ড। কিন্তু তিনি রান আউট হয়ে যাওয়ার পরেই যেন মুম্বাইয়ের ইনিংস যেনো তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ মাত্র ১৫৫। বিপরীতে ব্যাটিং করতে নেমে কলকাতা প্রথমেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে শুরু করে। যদিও ওপেনিং ব্যাটসম্যান শুভমান গিল খুব একটা বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারলেন না। কিন্তু তারপরেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রাহুল ত্রিপাঠী। দুজনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করেই ২৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় কেকেআর। ১৫.১ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে ফেলে কলকাতা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন সুনীল নারিন, তার অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। এই জয়ের সুবাদে রাজস্থান এবং মুম্বাইকে টপকে লিগ তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স।