মরিয়া লড়াই করেও জেতা ম্যাচ হাতছাড়া লাল হলুদ এর, ব্যবধান রইল ১-১
তবে এই ড্রয়ের পরে সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের।
আইএসএল এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচে শক্তিশালী হায়দরাবাদ এফসি বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকা সত্বেও জয় হাতছাড়া হলো লাল হলুদ ব্রিগেডের। ম্যাচের প্রথম থেকেই একেবারে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না, ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হলো রবি ফৌলারের ছেলেদের। সম্পূর্ণ জলে গেল এনোবাখারের দুর্দান্ত গোল। প্রথমার্ধ থেকেই দুটি দল জয় লাভের মরিয়া চেষ্টা শুরু করে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি ও জমি ছেড়ে দিতে নারাজ ছিল এই ম্যাচে।বেশ কয়েকবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল এবং হায়দরাবাদ এফসি। প্রথমার্ধের প্রথম দিকে একটি গোলের সুযোগ চলে এসেছিল হায়দ্রাবাদের কাছে। কিন্তু লাল-হলুদ গোলরক্ষক সুব্রত পালের দুর্দান্ত ট্যাকটিকস এই গোল হতে দিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করে। প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেললেও এন্টনি পিলকিংটন এবং মাঘমা তাদের গতির মাধ্যমে হায়দ্রাবাদের ডিফেন্স লাইন একেবারে চুরমার করে দেন। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে একটি থ্রু বল গোলে রূপান্তর করে লাল-হলুদ কে এগিয়ে দেন ব্রাইট এনোবাখারে। পিছিয়ে পড়া সত্বেও হায়দ্রাবাদ ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তারপরে, আরো একবার গোলের সুযোগ চলে আসে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কিন্তু সেই বার গোল করতে সক্ষম হননি এনোবাখরে।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে একেবারে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া একটি গোল করে হায়দ্রাবাদকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক আরীদানে সন্টানা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তের এই গোল জল ঢেলে দেয় ইস্টবেঙ্গল এর সমস্ত আশার উপরে। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ ব্যবধানে। এই ড্রয়ের পরে হায়দরাবাদ এফসি ১৭ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এল লিগ তালিকায় তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে দাঁড়িয়ে রইল লাল হলুদ। তবে এই ড্রয়ের পরে সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের।