শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে পুলিশী অভিযান, পুননির্বাচনের দাবি বিজেপির!
রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানায় শুভেন্দু অধিকারী সহ ২০ জন বিধায়ক
বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় গন্ডগোল হলেও কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipal Election) মোটামুটি নির্বিঘ্নেই হয়েছে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) নেতৃবৃন্দ অন্য কথা বলছে। এমনকি তারা পুননির্বাচনেরও (Repoll) দাবি তুলেছে। কারণ বিজেপির কর্মকর্তা এবং সমর্থকরা মনে করছেন কলকাতার পুরভোটে যথেষ্ট অস্বচ্ছতা রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকি প্রার্থীরা হেনস্থা শিকার হয়েছেন। তাই আজ সন্ধ্যা নাগাদ কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
পুরভোটের আগেই বিজেপির নেতৃবৃন্দ এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছিল। এমনকি ভোট পূর্ববর্তী অশান্তি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপের দাবি জানায় তারা। কিন্তু শেষ অব্দি আদালত রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রাখার কথা জানায়। তবে পুরভোটের আগে যেভাবে বিজেপির প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয় এবং হেনস্থা করা হয়, তাতে বিজেপির সমর্থকরা আন্দাজ করেছিলেন যে পুরভোটে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যাবে।
তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে পুরভোটে কোনওরকম অশান্তি হলে বিজেপি চুপ করে থাকবে না। এমনকি তারা কলকাতার পথে নেমে প্রতিবাদ জানাবেন, এমনটাও জানিয়ে রেখেছিলেন। সেই মতোই রবিবার বিকেলের পর থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন বিজেপি বিধায়ক ও বিজেপি সমর্থকরা। কিন্তু রাজ্য পুলিশের হস্তক্ষেপের ফলে তা পুরোপুরি সফল হয়নি। তবে বিজেপির সমর্থকরা পার্ক স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের (MLA Hostel) গেট আটকে দেয়। আর এই নিয়েই শুরু হয় অশান্তি।
তবে সন্ধ্যার দিকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে পুলিশের অভিযানকে কেন্দ্র করে অশান্তি চরমে ওঠে। এমনকি শুভেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন রাজ্যপালের দারস্থ হন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে দলের গোপন বৈঠক চলছিল। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীকেও বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। তবে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে কি কারণে পুলিশের অভিযান চলেছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বিজেপি দলনেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়।
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে অভিযান চালানোর পর শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন যে তিনি আর চুপ করে থাকবেন না। তাই তিনি ২০ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান। রাজ্যপালের সাথে কথা বলে রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ”উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে, কোনও গণতন্ত্র নেই। ২০ শতাংশ ভোট হয়েছে, বাকি সব জায়গায় রিগিং। অনেক জায়গায় সিসিটিভি অচল ছিল, হিংসার ছবি ধরা পড়েনি।” এমনকি সম্পূর্ণ ঘটনাটি নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্যপাল ধনকড়। তিনি টুইটে বারংবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।