আরজিকর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে, পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার সম্ভাবনা
আরজিকর হাসপাতালে অচলাবস্থা কাটানোর জন্য আইনের দ্বারস্থ হয়ে জনস্বার্থ মামলা ফাইল করেছেন এক ব্যক্তি
আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে এবারে আইনের দ্বারস্থ হলেন এক ব্যক্তি। নন্দলাল তিওয়ারি নামক একজন আইনজীবী শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা ফাইল করেছেন আরজিকর হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে আবেদন রেখেছেন, যেন দ্রুত জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে চিকিৎসার পরিসেবা ফেরানো যায়। এই মুহূর্তে আদালতে পুজোর ছুটি থাকার কারণে ওই গুরুত্বপূর্ণ মামলার জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। আগামী সোমবার সেই অবকাশকালীন বেঞ্চ থেকে ওই মামলার প্রথম শুনানি হবে।
অক্টোবরের গোড়া থেকে একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুরু হয়েছে রীতিমতো অচলাবস্থা। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে ইন্টার্ন এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একাধিক পড়ুয়া আন্দোলনের পথে হেঁটেছেন। এই আন্দোলনকারীদের দাবি, অধ্যক্ষকে ইস্তফা দিতে হবে। এই অচলাবস্থার কারণে সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে। বিষয়টি ক্রমাগত জটিল হয়ে উঠতে থাকায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। অন্যদিকে, আরজিকরের এই জট কাটানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা একটি মেন্টর গ্রুপ তৈরি করেছেন।
এই মেন্টর গ্রুপের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তারা তাদেরকে কাজে ফেরানোর পরিস্থিতি তৈরি করেন। কিন্তু মেন্টর গ্রুপ থেকে শুরু করে শীর্ষকর্তা সকলেই আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বললেও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। এরপর আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসার পরিসেবা কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা এই পরিস্থিতিতে জানিয়ে দিয়েছেন, যদি এই মুহূর্তে কাজে যোগ না দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু অনুপস্থিত বলে গণ্য করা হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে সমস্যা হবে। এই নতুন সিদ্ধান্তের পরে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী কাজে ফিরলেও জনাকয়েক জুনিয়র চিকিৎসক এবং ইন্টার্ন আমরণ অনশন করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠে। তাই এইবারে এই জটিলতা কাটাতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন ওই আইনজীবী।