ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরের খপ্পরে মিমি চক্রবর্তী
এই ঘটনায় একজন ভুয়ো আইএএস অফিসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
এ যেন উলটপুরাণ! গিয়েছিলেন কোভিড ভ্যাকসিন (Covid vaccine) নিয়ে সচেতনতার প্রচার করতে, নিজেও নিলেন কোভিড টিকা, কিন্তু ফল হল উল্টো। এবার কসবায় ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার খোদ অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
মঙ্গলবার কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ ক্যাম্প চলছিল। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, রূপান্তরকামী এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের টিকাকরণের আয়োজন করা হয়েছিল। এই টিকাকরণ কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত ছিলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, তিনি এখান থেকে কোভিডের প্রথম টিকাও নিয়েছিলেন। এরপর তাঁর মোবাইলে কোন মেসেজ আসেনি। বলা হয় কিছুক্ষণের মধ্যেই মেসেজ আসবে। এমনকী কোভিড টিকার কোন শংসাপত্রও পাননি অভিনেত্রী। বলা হয় বাড়ি পৌঁছানোর আগেই সার্টিফিকেট পৌঁছে যাবে। এরপর অভিনেত্রীর সন্দেহ হয়। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই এই টিকাকরণ ক্যাম্প চলছিল। এই ঘটনায় এক ভুয়ো আইএএস অফিসারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। অভিযোগ, তাতেই উপস্থিত ছিল দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দেন। এছাড়াও ক্যাম্পে দাঁড়িয়েছিল নীল বাতি লাগানো কলকাতা পুরসভার গাড়ি। যদিও পরে জানা যায় এ সবই ভুয়ো। দেবাঞ্জন দেবকে রাতভর জেরার পর পুলিশ জানতে পারেন তিনি ভুয়ো কলকাতা পুরসভার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এই টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু এমন কাজ কেন করেছিলেন তা পুলিশ এখনও জানতে পারেননি বলে সূত্রের খবর। খোদ সাংসদের উপস্থিতিতে এমন টিকাকরণ শিবিরের ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহল। এই ঘটনায় কলকাতা পুরসভার কোন কর্মীর যোগসাজস থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।