Kolkata Book Fair : গত ৪৫ বছরের হিসাবে রেকর্ড! বই বিক্রি হল ১১ কোটির বেশি
সব মিলিয়ে বেজায় খুশি বইমেলা প্রাঙ্গণ
তীব্র রোদের দাপটে উধাও বসন্ত, চৈত্রের আগেই কার্যত রোদের তাপে নাজেহাল মানুষ। কিন্তু এর মধ্যেও বইমেলায় ভিড় অব্যাহত (kolkata Book Fair Crowd)। ছাতা মাথায় এই স্টল থেকে ওই স্টল ছুটে বেড়াচ্ছেন বইপ্রেমীরা, ফুড স্টলগুলিতে ভীড় জমিয়েছেন খাদ্যপ্রেমীরাও। ইতিমধ্যেই বইমেলা উপলক্ষে নানান সুবিধা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই কার্যত বাজিমাত।উদ্বোধনের দিন বাদ রাখলে প্রথম দশদিনেই বই বিক্রিতে টাকার অঙ্কের হিসাবে সর্বকালীন রেকর্ডের পথে কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair)।
প্রকাশনা সংস্থাগুলির স্টল কিংবা গিল্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩ লক্ষ মানুষ এসেছেন বইমেলায়। আর বুধবার পর্যন্ত বই বিক্রি ১১ কোটি টাকারও বেশি। যা ৪৫ বছরের হিসেবে সর্বোচ্চ বলেই মনে করছে গিল্ড। সুতরাং নেট দুনিয়ায় ট্রেন্ডে থাক ই-বুক কিংবা পিডিএফে ভরে যাক পড়াশোনা। তবুও পাতা উলটে বই পড়ার মজার দরুন কলকাতা বইমেলাও মাথা উঁচিয়ে বেঁচে থাকবে তার ঐতিহ্য নিয়ে, এমনই মনে করছেন গিল্ডের কর্তারা।
প্রসঙ্গত, বইমেলা উদ্বোধনের সময়েই সেন্ট্রাল পার্কের নাম বদলে 'বইমেলা প্রাঙ্গণ' করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের থিম কান্ট্রি আবার বাংলাদেশ। তাই বঙ্গবন্ধুর বিশাল কাটআউটে সেজে উঠেছে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কোভিডবিধি মেনেই চলছে বইমেলা। গত রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বইমেলায় অংশ নেওয়া সমস্ত প্রকাশকদের ট্রেড লাইসেন্স ফি মুকুবেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। একদিকে লাইসেন্স মকুব, অন্যদিকে রেকর্ড বিক্রি। সব মিলিয়ে বেজায় খুশি বইমেলা প্রাঙ্গণ।