Kabir Suman: ফের বিতর্কের শিরোনামে কবীর সুমন, 'অশ্লীলতার' অভিযোগে বিদ্ধ সুমনের কবিতা
"কবীর সুমনের একদম মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে গেছে" সাহিত্যিক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বেশ কিছুদিন আগেই তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বাংলা সংবাদমাধ্যমের এক কর্মীর সঙ্গে কথোপকথনে ব্যবহার করেছিলেন বেশ কিছু 'অমার্জিত' শব্দ। তখনও তাঁর পাশে অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন, আবার অনেকেই জোরাল ভাষায় সোচ্চার হয়েছিলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। একবার তিনি গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন, পরক্ষণেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি কবীর সুমন (Kabir Suman)। ফের ফেসবুকের একটি লেখাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অশ্লীলতার দায়ে অনেকেই বিঁধেছেন তাঁকে। অনেকেই বলেছেন 'মস্তিষ্ক বিকৃতি'। সব মিলিয়ে উত্তাল নেট পাড়া।
ঘটনাটি ঠিক কী? কী লেখাই-বা লিখেছেন তিনি? লেখাটি একটি কবিতা। আর যাকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। জনৈকা পূর্বাকে উদ্দেশ করে লেখা স্বীকারোক্তি পত্রও বলা চলে। বর্তমান সময়ে ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম মতপ্রকাশের অন্যতম জায়গা। যেকোন মানুষ তাঁর ব্যক্তিগত ওয়ালে যেকোন বিষয় নিয়ে লিখতেই পারেন। সেই স্বাধীনতা আছে তো বটেই। কিন্তু একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, যেহেতু এটি একটি সামাজিক মাধ্যম সেখানে ভাষা ব্যবহার, শব্দচয়ন ঘিরে একটু সতর্ক থাকা উচিত নয় কি?
কবিতাটি ফেসবুকে আসার পর থেকেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সুমন অনুরাগীদের একাংশও বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। অন্তরে শ্রদ্ধা রেখে অনেকেই স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁদের ভালো না লাগার কথা। অনেকেই তো কবীর সুমনের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। স্পষ্ট জানিয়েছেন, কবীর সুমনের মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এভাবে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এই ভাষায় কি কিছু লেখা যায়? কবি ভারতচন্দ্রকে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের মন জয় করতে 'বিদ্যাসুন্দর' কাব্য লিখতে হয়েছিল। কিন্তু একবিংশ শতকে গায়ক, প্রতিবাদী সত্তা কবীর সুমনের এমন কবিতা লেখার কারণ কী, অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়।
কবিতার বিষয়বস্তু নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় নেট পাড়ায়। অনেকেই সুমনের লেখাকে 'চূড়ান্ত অশ্লীল' তকমা দিয়েছেন। আবার অনেকেই কবীর সুমনের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে আঙুল তুলেছেন। সাহিত্যিক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক ওয়ালে বলেছেন, "আমি বলেইছিলাম কবীর সুমনের একদম মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে গেছে। ছিঃ!" কিংবা অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন, "মানুষ হওয়া ছেড়েছ তো কয়েক বছর আগে, তোমার কি জন্তু হতে এতো ভালো লাগে?" গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব নেট পাড়া। উঠেছে বিতর্কের ঝড়।