যেন হলিউডের চিত্রনাট্যকে হার মানায় - ৫০ যাত্রীসহ উধাও স্পাইসজেটের বিমান
শনিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে স্পাইসজেটের একটি উড়ান নিখোঁজ, ঘন্টা দেড়েকের চেষ্টায় পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন।
যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়! যাত্রীবাহী একটি বিমান আকাশে উড়ল, আধ ঘণ্টার মধ্যেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, উৎকণ্ঠার শেষ নেই, সব ধরণের প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনা যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, তখনই প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন। শনিবারের মাঝরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে এসেছিল তেমন ভয়াবহ দৃশ্য, যেন কোন হলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শনিবার রাত ১২.১৫ নাগাদ ৫০ জন যাত্রী নিয়ে স্পাইসজেটের একটি ছোট কিউ ৪০০ বিমান চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। প্রায় আধ ঘণ্টা পর থেকে বিমানটির সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) রুমের সব ধরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সকলের উৎকণ্ঠা কাটিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাত ২.১০ নাগাদ বিমানটির সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ততক্ষণে বিমানবন্দরের সকলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, স্পাইসজেটের এই বিমানটি ভুবনেশ্বর পৌঁছানোর ঠিক আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি ইমার্জেন্সি ফ্রিকোয়েন্সি দিয়েও কোন যোগাযোগ করা যায়নি। সব ধরণের চেষ্টা ব্যর্থ হলে ওই বিমানের গতিপথের আশপাশ দিয়ে যে বিমান যায়, তাদের পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হতে হয়। সব মিলিয়ে সব প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ, তখন ঘণ্টা দেড়েক পর বিশাখাপত্তনমের এটিসির সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ স্থাপিত হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, রেডিও কমিউনিকেশন যন্ত্রের গোলযোগের কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল।
শনিবার রাতের কলকাতা বিমানবন্দরের এই রহস্যময় বিমান নিখোঁজের সঙ্গে ২০১৪ সালের মার্চের দক্ষিণ চিন সাগরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০ বিমানের হারিয়ে যাওয়ার মিল খুঁজেছেন অনেকে। তবে এমএইচ ৩৭০ সম্পূর্ণ হারিয়ে গেছে, কিন্তু স্পাইসজেটের এই বিমানটির সঙ্গে মৌখিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও মনিটর থেকে হারিয়ে যায়নি। এটিসির এক কর্তার কথায়, "এ তো হলিউড চিত্রনাট্যকে হার মানায়!"