ছাত্রের ফোনে অধ্যাপিকার বিকিনি ছবি, চাকরি হতে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত সেন্ট জেভিয়ার্সের
সেই অধ্যাপিকার বক্তব্য, "আমার নতুন করে কিছুই বলার নেই, আমার আইনজীবী যা বলার নির্দিষ্ট মঞ্চে সেটা বলবেন।"
স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media) শিক্ষিকার বিকিনি পরা ছবি দেখে ফেলেছে ছাত্র, আর তাতেই লজ্জায় মরিমরি সে এবং তার বাবা। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ; আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই চাকরি খোয়া গেল সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির এক সহকারী অধ্যাপিকার। এমনই অভিযোগে তোলপাড় স্যোশাল মিডিয়া।
ঘটনার সূত্রপাত গতবছর অক্টোবরে। অগাস্টে যোগ দেওয়া নতুন অধ্যাপিকা নিজের ইনস্টাগ্রামে শখের বসে একটি ছবি পোস্ট করে ফেলেছিলেন। আর তা দেখে ফেলেই লঙ্কাকান্ড। বি কে মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্যক্তির লেখা চিঠি এখন ভাইরাল। চিঠিতে লেখা হয়েছে, "আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি দেখছিল। ছবিগুলি অত্যন্ত কুরুচিকর, অশ্লীল, প্রায় নগ্ন বললেই চলে। ছবিগুলিতে শিক্ষিকা যৌন উত্তেজনামূলক পোশাক পরে রয়েছেন। শিক্ষিকার অন্তর্বাস পরা ছবি ছেলে দেখছে, বাবা হিসেবে আমার কাছে ভীষণ লজ্জার এই দৃশ্য। একজন ১৮ বছরের ছেলে তার অধ্যাপিকার স্বল্পাবাসের ছবি দেখছে, তাও আবার প্রকাশ্যে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে, এটি অত্যন্ত নিকৃষ্টমানের ও লজ্জাজনক ঘটনা।"
অভিযোগ, এই পত্রের পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ তাদের প্রাক্তন ছাত্রী তথা বর্তমান অধ্যাপিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছেন ওই অধ্যাপিকা। অন্যদিকে, সেই অধ্যাপিকার বক্তব্য, "আমার নতুন করে কিছুই বলার নেই, আমার আইনজীবী যা বলার নির্দিষ্ট মঞ্চে সেটা বলবেন।"