টিকিট পাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা না কাটতেই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে নোটিশ বৈশাখীর
লোটা-কম্বল গোটানো আছে, ভোট শেষ হলেই চলে যাব, উত্তর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের
গতকাল কলকাতা পুরসভা (KMC) নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovon Chatterjee) স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। তাও আবার শোভনের ওয়ার্ড (Kolkata News) থেকেই। এমন ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা না কাটতেই, শনিবার সকালেই রত্নাকে আইনি নোটিশ পাঠালেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)।
শোভনের ইচ্ছেতেই পর্ণশ্রীর বাড়ির মালিক এখন বৈশাখী। অথচ বাড়ি দখল করে আছেন রত্না! তাই সেটা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। নোটিশে আবারও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ওই বাড়িটি নাকি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কিনে নিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের থেকে। যদিও বরাবরই তা মানতে নারাজ রত্না চট্টোপাধ্যায়। প্রথমেই তিনি এই ইস্যুতে বলেছিলেন, "বাড়ি বিক্রির প্রমাণ আমাকে দেখাতে হবে। কীভাবে বাড়ি কেনা হয়েছে তাও দেখতে হবে।"
তবে এবার সেসব প্রমাণের কথা না তুলে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সাফ দাবি, "লোটা-কম্বল গোটানো আছে। ভোট শেষ হলেই চলে যাব।" যদিও সূত্রের খবর, পর্ণশ্রীর মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের ১৩৯ ডি/৪ নম্বর বাড়িটি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ১ কোটি টাকায় কিনেছেন।
উল্লেখ্য, রত্না চট্টোপাধ্যায় এখন বিধায়ক। এছাড়াও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি পুরনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এর আগেই এই ওয়ার্ড থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাই কার্যত রত্নাদেবীর টিকিট পাওয়ার পরেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়াকে কার্যত 'জ্বালা' বলে মনে করেছেন অনেকেই।
টিকিট পাওয়া নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আমি প্রায় চার বছর ধরে এই ওয়ার্ডের হাল ধরেছি। এতটাই আত্মিকভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যে আমার কখনও মনে হয়নি আমি কাউন্সিলর নই। আমি ভাবিনি বিধায়ক হবো, সেই সম্মান দেওয়ার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আমার আশা ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হবো।"