২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতায় চলবে সব বৈদ্যুতিক গাড়ি, জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 11/11/2021   শেষ আপডেট: 11/11/2021 10:55 a.m.
Facebook@firhadhakim

দূষণ রোধে নতুন পরিকল্পনার কথা শোনালেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতায় চলবে কেবল বৈদ্যুতিক ও সিএনজি চালিত গাড়ি। পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বুধবার বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বার্সের এক অনলাইন সভায় জানালেন এমনই কথা। তবে তা কেবল সরকারি ক্ষেত্রে নাকি সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, আরও সরকারি ১০০০ টি বৈদ্যুতিক চলবে। ৩০০ সরকারি বাসকে ডিজেল জ্বালানি থেকে সিএনজিতে বদল করাও হচ্ছে। এদিনের পরিবহণ মন্ত্রীর কথায় তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি সিটি অব জয় কলকাতায় ২০৩০ সালের মধ্যেই বাতিল হবে সমস্ত পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি?

এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী? বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এ সিদ্ধান্ত আচমকাই আসেনি। গত কয়েক দশক ধরেই জীবাশ্ম জ্বালানির মজুত কমছে। গোটা বিশ্বেই বিকল্প জ্বালানির সন্ধান চলছে। তার সঙ্গে পরিবেশ দূষণের বিষয়টিও জড়িত। যেভাবে দূষণের মাত্রা বাড়ার ফলে গোটা বিশ্বের জলবায়ুর পটচিত্র বদলে যাচ্ছে, তাতে গত কয়েক দশক ধরেই একদল মানুষ বলে আসছেন। এরফলেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইতিমধ্যেই দূষণমুক্ত যানবাহনের দিকে ঝুঁকছে। দিন কয়েক আগেই নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায়ও এমন দাবি উঠেছে। তাই সব দিক থেকেই গোটা দেশেই ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই দূষণ করে এমন পরিবহণ বাতিল করা হবে। বরং বৈদ্যুতিক ও সিএনজি গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো হবে। এর জন্য বিভিন্ন এলাকায় চার্জিং স্টেশন তৈরি করা হবে। পার্কিং স্টেশনগুলিতে চার্জের জন্য ২ শতাংশ সংরক্ষণ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেই সঙ্গে পুরানো গাড়িগুলি বাতিলের চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। ভারতের মতো দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের সমস্যা কোথায়? জানা গেছে, মূলত পরিকাঠামোর অভাবই এর জন্য দায়ী। তবে খুব শীঘ্রই এই পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা করা হবে বলেও জানা গেছে।