আক্রান্ত এবং অসচেতনতায় শীর্ষে কলকাতা, দ্বিতীয় ডোজ নেননি প্রায় ৩ লক্ষ নাগরিক

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 12/01/2022   শেষ আপডেট: 12/01/2022 1:41 p.m.
নবান্ন - নিজস্ব চিত্র

কড়া পদক্ষেপ নবান্নের

একদিকে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ (Covid19)। করোনার একের পর এক নয়া স্ট্রেনে (New Variant) আক্রান্ত গোটা দেশ। জেলা থেকে রাজ্য কিংবা দেশ বা বিদেশ, সর্বত্রই জোর দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিনেশনে (Vaccination)। আর এসবের মধ্যেই ভয়াবহ চিত্র শহর কলকাতায় (Kolkata)। রাজ্যের (West Bengal) মধ্যে (Kolkata News) ওভারডিউ-এ ১ নম্বরে তিলোত্তমা (Top News)। কী এই ওভারডিউ? টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তারপর টিকা নেননি কলকাতার ২ লক্ষ ৮২ হাজার জন নাগরিক।

গতকাল ওভারডিউ-এর তালিকা প্রকাশ করেছে নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশ, অবিলম্বে কলকাতা সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করে শীঘ্রই ওভারডিউ-এর সংখ্যা কমাতে হবে। তবে কেন টিকা নিতে অনীহা? অধিকাংশের মধ্যেই অসচেতনতার ছবি ধরা পড়েছে। অনেকেই বলতে চাইছেন, টিকা নিলেও যদি ফের করোনাক্রান্ত হতে হয় তাহলে টিকা নেওয়ার দরকারটা কী?

বলে রাখা ভালো, টিকাকরণের আগেই জানানো হয়েছিল, টিকা নিলে করোনাক্রান্ত হবেন না, এ কথা ভুল। বরং টিকার দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গেলে করোনাক্রান্ত হলেও মৃত্যুর আশঙ্কা কম। তবে টিকার দুটি ডোজ নিয়েও কিছু সংখ্যক মানুষের যে মৃত্যু হয়েছে, তাতে চিকিৎসকদের ব্যাখ্যা, "টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের নিয়ে গবেষণা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কেউ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, কারও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, কারও বা ক্যানসারের মতো অসুখ রয়েছে। এই সমস্ত কোমর্বিডিটির কারণেই টিকার দুটো ডোজ নেওয়ার পরেও মৃত্যু হচ্ছে।"

টিকাকরণে অনীহা প্রসঙ্গে এক চিকিৎসক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "কেউ টিকা নেননি। কেউ নিয়েছেন। যাঁরা একটি ডোজ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, তাঁরাই বিপদের কারণ। ভাইরাস এঁদের শরীরে ঢুকে মিউট্যান্ট করে ক্ষতিকর কোনও চেহারা নিতে পারে।"

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মধ্যে করোনাক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৬৫। মঙ্গলবার নতুন ২৯টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। প্রতিটি কনটেনমেন্ট জোনে স্যানিটাইজেশনে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন পুরকর্তারা।