সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর তথাগতর, কি বক্তব্য কৌশিক, রুদ্রনীল এবং সিধুর?
২০১৫ সালে সায়নী ঘোষ একটি টুইট নিয়ে তথাগত রায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ ২০১৫ সালে একটি টুইট করেছিলেন যেটি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে, এই মর্মে এদিন সায়নীর বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এছাড়া সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে আসামে হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে তাদের বক্তব্য রেখেছেন চলচ্চিত্র জগতের বুদ্ধিজীবীগণ। এই তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা কৌশিক সেন , অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এবং গায়ক সিদ্ধার্থ ওরফে সিধু।
কৌশিক সেন এর বক্তব্য, যদি সায়নী ঘোষ তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই পোস্ট করে থাকেন তবে ঐ পোষ্টের দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। যদি তিনি ২০১৫ সালে কোন পোস্ট করে থাকেন, তাহলে সেটা তখন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছিল। কিন্তু এর মানে এটা নয় যে তিনি এখন বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেন না। এটা কিন্তু রুচিশীল নয়।
অন্যদিকে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বক্তব্য, দেশে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম মতের মানুষ রয়েছে এবং তারা তাদের শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার ভগবানকে যেভাবে ডাকবেন ডাকতে পারেন। এতে কিন্তু সায়নীর ব্যক্তিগত কোন আবেগ জড়িয়ে থাকতে পারে না। সায়নী বলেছেন, জয় শ্রীরাম হুংকার দেখানো হচ্ছে। এটা সায়নীর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি। আমি নিজে কখনো পশ্চিমবঙ্গে জয় শ্রীরাম বলতে দেখিনি। তার পুরনো টুইট পড়ে তাকে চেনার চেষ্টা করছেন হিন্দু ধর্মের মানুষেরা। ভগবান শিব কে নিয়ে তিনি একটি টুইট করেছিলেন যা যে কারোর ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। এমন যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে কিন্তু আমি করিনি না বলে, অনিচ্ছাকৃতভাবে করেছি বা কাউকে কষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না এরকম বলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ভালো। যদি তিনি হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত না করতেন হয়তো তাহলে কেউ অতীতে গিয়ে খুঁজতেন না।
অন্যদিকে গায়ক সিধু বলছেন, শিল্পীর ধর্ম শিল্প। বেশ কয়েক বছর আগে কে কি ধরনের টুইট করেছেন সেটাকে যদি আজ তুলে এনে রাজনৈতিক কারনে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা কিন্তু আমি নৈতিকভাবে সমর্থন করছি না। একজন শিল্পী হিসেবে আমার এটাই অনুরোধ, শিল্পীর বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করবেন না। আখেরে সেটা কিন্তু দেশের শিল্প সংস্কৃতির ক্ষতি হয়ে দাঁড়াবে।