ঘাসফুলের প্রচারে প্রমিতা, পাশে রুদ্রজিৎকে না পেয়ে খানিক আফসোস
শাসক দলের ডাকে সাড়া দিলেও এখনই সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নয় : প্রমিতা
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী বিজেপি, দু-তরফেই তারকা প্রার্থীর মেলা। বলা যায়, ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা - বাংলার বিনোদন জগতের অন্দর এখন পুষ্ট নানাবিধ রাজনীতির রঙে। ছোটপর্দার অতিপরিচিত মুখ প্রমিতা চক্রবর্তীও নিয়মিত সামিল হয়েছেন শাসকদলের হয়ে রাজনৈতিক প্রচারে। যদিও কোনো কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি নন বা তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে নামও লেখাননি, তবে শাসকদলের 'ডাক'-কে উপেক্ষা করতে পারেননি প্রমিতা। সঙ্গী রূদ্রজিৎ অবশ্য ডাক না পাওয়ায় সামান্য আফসোস রয়েছে, জানালেন প্রমিতা।
সক্রিয় রাজনীতিতে আসা নিয়ে কি বলছেন 'সাত ভাই চম্পা'-র মূখ্য চরিত্র? তাঁর বক্তব্য, প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করতে গেলে নূন্যতম বয়স, অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা ও দায়িত্ব নিতে পারার ক্ষমতা থাকা চাই। এখনও এসব শেখার বাকি তাই সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার কথা এখনই ভেবে দেখেননি এবং সবটাই সময়ের হাতে ছেড়েছেন 'বধূবরণ'-এর কনক।
তাহলে নিয়মিত তৃণমূলের হয়ে প্রচারে কেন? তিনি জানান, এর আগেও স্টেজ শো করতে গিয়ে নানা জায়গায় গিয়েও সেখানকার মানুষের দুয়ারে পৌঁছানো হয়নি। তবে শাসকদল তাকে প্রচারের জন্য ডাকে যা ফেলতে পারেননি প্রমিতা। আর এখন প্রচারে বেরিয়ে দেখেন এই একটি মাধ্যম দ্বারা খুব সহজে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। জনতার দুয়ারে গিয়ে তাদের কথা, অভিযোগ, দাবিদাওয়া শোনা এবং সর্বপরি শাসক দলের সাথে মানুষের যোগসূত্র তৈরির ভার পড়েছিল প্রমিতার ওপর এবং এই কাজে থেকে খুশি অভিনেত্রীও।
তবে কাছের মানুষ রুদ্রজিৎকে এই প্রচারকাজে না পাওয়ায় সামান্য আফসোস রয়েছে প্রমিতার। শাসকদলের থেকে ডাক পাননি রুদ্রজিৎ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনস্ক্রিন ও অফস্ক্রিন দুক্ষেত্রেই রুদ্র-প্রমিতা জুটি কার না নজরে আসেনি!