'দিদির দরজা সকলের জন্য খোলা', তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন শ্রাবন্তী!
শ্রাবন্তীর পাশে দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদারকে তীব্র কটাক্ষ নুসরতের
রাজ্যের (West Bengal) উন্নয়নের স্বার্থে পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিজেপি (BJP)। বাংলা নিয়ে আন্তরিকতার অভাব বিজেপির। বৃহস্পতিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একথা ঘোষণা করে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)।
এরপরেই উঠেছে নানান ইস্যু। কেন দলত্যাগ? আর এতদিন পরেই বা কেন? প্রসঙ্গত, একটি সংবাদমাধ্যমের দোলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বেশ ভালোই কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছিল শ্রাবন্তী সহ আরও অন্যান্যদের। সে সময় অনেকেই সরাসরি মন্তব্য করেছিল, এত কিছুর পরেও কীভাবে বিজেপিতে আছেন শ্রাবন্তী! তবে এরপরেও শ্রাবন্তী দলত্যাগ করেননি। তবে বিরোধী দলে থেকেও বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করেছেন।
তবে বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদ তো হলো। এবার কী তৃণমূলে আসতে পারেন শ্রাবন্তী? এই ইচ্ছেই শ্রাবন্তীর বহু ভক্তের। যদিও এ বিষয়ে সেভাবে মুখ খোলেন তিনি। ওদিকে এক সংবাদমাধ্যমকে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) জানান, "তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে শ্রাবন্তীর সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। তবে আমাদের দিদি ব্যক্তিগত সম্পর্ককে রাজনীতির উপরে রাখেন। দিদির দরজা সকলের জন্য খোলা।"
তবে শ্রাবন্তীর দলত্যাগ করার পরেই বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) দাবি, "বিজেপি করলে কাজ পাওয়া যাচ্ছে, তাই দলত্যাগ।" তা নিয়েই চলে বিস্তর জলঘোলা। তবে এবার সুকান্ত মজুমদারের এমন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন টলি অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)।
তাঁর পাল্টা জবাব, "এই সমস্যাটা টলিউডে বোধহয় কেউ ফেস করেন না। শুধু বিজেপির পলিটিক্যাল মুখরাই এমন কথা বলে থাকেন। এখানে প্রচুর মানুষ আছেন, যারা অন্য দল করেন, কিন্তু দিব্যি কাজ করছেন। রাজনীতি আর সিনেমার মধ্যে কোনও যোগাযোগ নেই। আমি নিজেও সাংসদ, আবার সিনেমাও করি। দুটির মধ্যে কোনও যোগাযোগ দেখতে পাবেন না। এখানে সবাই যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পান। তাই পেয়ে এসেছেন।"