'তান্ডব'র পরে আইনি জালে 'মির্জাপুর', অভিযোগে ধর্মীয় ভাবাঘাত
এফআইআর দায়ের ‘মির্জাপুর’এর প্রযোজক রীতেশ সিধওয়ানি, ফারহান আখতার ও ভৌমিক গোন্ডালিয়র বিরুদ্ধে
'তান্ডব'এর পরে এবার আইনি জালে 'মির্জাপুর'। তবে অনেকেই মনে করছেন, ‘তাণ্ডব এফেক্ট’ এর ফলেই মির্জাপুরের বিরুদ্ধে আইনি জট। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর কোতোয়ালির থানাতেই এফআইআর করা হয়েছে ‘মির্জাপুর’এর প্রযোজক রীতেশ সিধওয়ানি, ফারহান আখতার ও ভৌমিক গোন্ডালিয়র বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে খবর মিলেছে, অভিযোগকারী অরবিন্দ চতুর্বেদী জানিয়েছেন, "মির্জাপুর’ ছবিতে অশ্লীল বিষয় ও অনৈতিক সম্পর্ককে নীতিগত ভাবে ঠিক বলে প্রতিপন্ন করতে চাওয়া হয়েছে। তাই এই ওয়েব সিরিজের প্রযোজকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ, ৫০৪ ও ৫০৫ ধারায় দায়ের করা হয়েছে মামলা।"
এ বিষয়ে মির্জাপুরের পুলিশ সুপার অজয় কুমার জানিয়েছেন, "মির্জাপুর’ ওয়েবসিরিজটির বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগই এনেছেন অভিযোগকারী অরবিন্দ চতুর্বেদী। এই তিন ধারায় ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে জনতার শান্তিভঙ্গ করা ও জনগণকে বেআইনি কাজে উৎসাহ দেওয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হয়।"
প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায় মির্জাপুরের সিজন ২। সে সময় যেভাবে জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছেছিল এই ওয়েবসিরিজটি। ঠিক তেমনই কটাক্ষের মুখেও পড়েছিল।
সে সময় মির্জাপুরের সাংসদ ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে মির্জাপুর শহরে প্রচুর উন্নতি হয়েছে এবং তাঁর শহর ‘একতার কেন্দ্র।’ কিন্তু ‘মির্জাপুর’ নামক ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে, শহরটা হিংসার ঘাঁটি। আমাদের শহরের বদনাম করছে এই সিরিজ। জাতিগত হিংসা উসকে দিচ্ছে। মির্জাপুরের সাংসদ হিসেবে দাবি করছি, এই ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হোক। যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক।”