চলে গেলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর
আজ সকাল ৮.১২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুরের যাদুকর
কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর আজ সকাল ৮.১২ মিনিটে ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। এই বছরের জানুয়ারির শুরুতে কোভিড পজিটিভ ও নিউমোনিয়া সংক্রমিত হয়ে একটি শহরের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সঙ্গীত জগত থেকে বিনোদন তথা আপামর ভারতবাসী শোকাহত সুর সম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে। লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), যার আওয়াজে মুগ্ধ, ঋদ্ধ, তৃপ্ত হত অগুনতি শ্রোতা; যার সুরের মূর্ছনায় অভিভূত হয়ে উঠত প্রত্যেক সঙ্গীতপ্রেমী; সেই সুরের রাণী আজ ইহলোক ত্যাগ করে পরলোকে বিলীন হলেন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর, ৯২ বছরে এসে থামল লড়াই। রেখে গেলেন এক সুবিশাল সুরসম্ভার। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে ভারতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রবীণ গায়িকা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোভিড -১৯ (Covid-19) এবং নিউমোনিয়া (Pneumonia) রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভারতের অভিনয় জগত, রাজনীতি এবং খেলাধুলা জগতের প্রায় প্রত্যেকে তার প্রয়াণে সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন।
পন্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর (Deenanath Mangeshkar) এবং শেবন্তী মঙ্গেশকরের (Shevanti Mangeshkar) কন্যা লতা আদ্যোপান্ত সঙ্গীত পরিবারেই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা একজন সুপরিচিত মারাঠি সঙ্গীতজ্ঞ এবং থিয়েটার শিল্পী ছিলেন। তিনি প্রথম জীবনে তাঁর বাবার কাছেই শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে তার বেশ কয়েকটি নাটকে শিশু শিল্পী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। মারাঠি ছবি "গাজাভাউ"-এর (Gaajabhaau) জন্য "মাতা এক সপুত কি দুনিয়া বদল দে তু" গানটি তার প্রথম রেকর্ড করা হিন্দি গান, যা 1943 সালে মুক্তি পেয়েছিল। পরবর্তীতে, তিনি হিন্দি সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীতজ্ঞ এবং সঙ্গীত পরিচালক অনিল বিশ্বাস (Anil Biswas), শঙ্কর জয়কিশান (Shankar Jaikishan), নওশাদ আলি (Naushad Ali) এবং এসডি বর্মনের (SD Burman) মতো অন্যান্যদের সাথে কাজ করেছিলেন। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার গানেও তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke), ভারতরত্ন (Bharat Ratna), পদ্মবিভূষণ (Padma Vibhushan) এবং পদ্মভূষণের পাশাপাশি (Padma Bhushan) বেশ কয়েকটি জাতীয় ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে স্তব্ধ, শোকার্ত, হতবাক সঙ্গীতজগত।