Hridpindo : অতীত না বর্তমান, 'হৃদপিন্ডের টান'এ জয়ী হবে কে?

সৃজিতা ব্যানার্জী
প্রকাশিত: 16/05/2022   শেষ আপডেট: 16/05/2022 10:13 p.m.
instagram.com/imarpitac

মুক্তি পেয়েছে 'হৃদপিন্ড', কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন দর্শকরা

'সকল হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছি যারে, সে কি ফিরাতে পারে..'! স্বয়ং গুরুদেব ভালোবাসার প্রসঙ্গে বারবার হৃদয়কে উপস্থাপন করেছেন। রবীন্দ্রনাথ থেকে এ যুগের শিল্পীরা, সকলেই তাঁদের শিল্প, হৃদয়ের আঙ্গিনায় বিছিয়ে দেয়। কিন্তু এই হৃদয়, এর কি আদৌ কোনো বাস্তব অস্তিত্ব আছে? কেউ কি বলতে পারবেন? যদি নাই থেকে থাকে, তাহলে ভালোবাসাটা হয় কি দিয়ে? কে চালনা করে আমাদের মনের এই উথালপাথালকে? এই প্রশ্নই তুলে ধরেছেন পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক (Shieladitya Moulik) তাঁর 'হৃদপিণ্ড' (Hridpindo) ছবিতে।

ছবিটি আবর্তিত হয়েছে, বিজ্ঞান শিক্ষিকা আর্যা অর্থাৎ অর্পিতা চ্যাটার্জী (Arpita Chatterjee), সোমক অর্থাৎ সাহেব চট্টোপাধ্যায় (Saheb Chattopadhyay), এবং ঋক অর্থাৎ প্রান্তিক ব্যানার্জীকে (Prantik Banerjee) কেন্দ্র করে। আর্যা এবং সোমক স্বামী-স্ত্রী। সুখী পরিবার। কিন্তু এই সুখে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, আর্যার জীবনে ঘটা হঠাৎ দুর্যোগ! গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট হন। এখানেই শুরু হয়, ছবির কাহিনী। স্মৃতিভ্রষ্ট আর্যা ফিরে যায়, তাঁর শৈশবের স্মৃতির কিনারায়! যেখানে তাঁর পরিবারের সঙ্গে, তাঁর কৈশোর বয়সের প্রেমিক, ঋকের উপস্থিতি। আর সোমক, তিনি স্মৃতিহীন আর্যার 'শামুক কাকু'! আর্যা মনস্তাত্বিক ভাবে এখন কিশোরী! পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে, তাঁর জীবনে ফিরে আসে, বয়ঃসন্ধির খেলনা বাটি সংসারের দোসর, ঋক। স্বভাবতই আর্যা তাঁর অতীতকে বর্তমান হিসেবে বাঁচলেও, ঋক তাঁর কৈশোর প্রেমকে এই পর্যায়ে ফিরে পেয়ে, আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। শুরু হয় তিনটি মানুষের মনস্তাত্বিক সংকট! আর্যার সুস্থতার জন্য, সোমকও মেনে নেয় সবকিছু!

তিনটি মানুষের, তিনটি মনস্তত্ত্বের টানাপোড়েনে প্রশ্ন আসে, ভালোবাসা কি দিয়ে হয়? মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড, নাকি হৃদয়? তাত্ত্বিকরা বলে থাকেন, ভালোবাসা হরমোনের খেলা। কিন্তু মস্তিষ্কে যদি বিভ্রাট সৃষ্টি হয়, মস্তিষ্ক যদি সক্রিয়তা হারায়, তবে কি শুধু হৃদপিন্ড দিয়ে ভালোবাসা যাবে? 'হৃদপিন্ডের টান' কি সঠিক মানুষ খুঁজে দেবে? নাকি হৃদপিন্ড শুধুই একটি অনুভূতি-আবেগহীন মাংসপিন্ড মাত্র, যার কাজ কেবল রক্ত সঞ্চালন করা! এই সকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কেই আপনারা অবতীর্ণ হতে পারবেন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখতে গেলে।

কোভিডকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রায় বছর খানেক পর মুক্তি পেলো এই ছবি! ছবির গান ছবি মুক্তির অনেক আগেই জনপ্রিয় হয়েছিল। মেখলা দাশগুপ্তের কণ্ঠে (Mekhla Dashgupta) 'মন কেমনের জন্মদিন' (Mon Kyamoner Jonmodin) গানটি মন ভালো করেনি, এমন মানুষ বোধ হয় কম! গানটি শোনামাত্রই ছবিটি নিয়ে উচ্ছাসা তৈরি হয়েছিল সংস্কৃতি-মহলে। ছবিটির সঙ্গীত নির্মাণের দায়িত্বে আছেন রনজয় ভট্টাচার্য (Ranajoy Bhattacharjee)।