করোনার কোপ টলিপাড়ায়, কাল থেকে বন্ধ সমস্ত শ্যুটিং! ব্যর্থ হল র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট
কয়েকদিন আগেই ফেডারেশনের তরফে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল
করোনার জেরে ব্যহত জনজীবন। নির্বাচন শেষ হতেই আংশিক লকডাউনের পথেই হেঁটে ছিল রাজ্য। তবে অবশেষে আগামিকাল থেকে কার্যত লকডাউন পশ্চিমবঙ্গে। একমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে জনজীবন। আগামী ৩০ মে সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত রাজ্যে কার্যত লকডাউন জারি করা হল। সরকারের তরফে জারি নির্দেশিকায় শ্যুটিং নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি তবে বন্ধ থাকবে সব যান চলাচল। একমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি চলবে, জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।
ট্রেন, বাস, মেট্রো, ট্যাক্সি সমস্ত কিছুই বন্ধ থাকলে স্বভাবতই প্রশ্ন হল, এই পরিস্থিতিতে কি শ্যুটিং সম্ভব? তাই আগামিকাল থেকেই বন্ধ হচ্ছে টলিপাড়া। এই প্রসঙ্গে আর্টিস্ট ফোরামের অন্যতম সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় কল-ইন মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে জানান, আপৎকালীন ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রাইভেট গাড়ির যাতায়াতও বন্ধ থাকছে, তখন শুটিং বন্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। যদিও এখনও কোনও অফিশিয়াল নির্দেশ এসে পৌঁছায়নি।
এই প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, "কিছুক্ষণ আগেই আমাদের চিফ সেক্রেটারি নবান্ন থেকে যে নির্দেশিকা জারি করেছেন যে শুধু জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা অনুধাবন করলাম কোভিড পরিস্থিতি যেভাবে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেটার কথা মাথায় রেখে আমরা শ্যুটিং বন্ধ করবার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা সবসময়ই সরকারের পাশে ছিলাম, গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতির যা অবস্থা, সেখানে সরকারের হাতে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই। সরকারের পরবর্তী নির্দেশিকা মেনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ফেডারেশনের তরফে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিনামূল্যে টিকাকরণের কথাও জানিয়েছিলেন স্বরূপ বিশ্বাস। বলেছিলেন, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা চাইলে এই পরিষেবার জন্য আবেদন জানাতে পারেন। কিন্তু লকডাউন হওয়ায়, এখন তা কার্যত ব্যর্থ।