টক, ঝাল নাকি মিষ্টি, কোন স্বাদের হদিস দেবে 'কুলের আচার'?
চলতি মাসে মুক্তি পেতে চলেছে মধুমিতা সরকার ও বিক্রম চ্যাটার্জীর ছবি 'কুলের আচার'
মিঠি এবং প্রীতম, সদ্য বিবাহিত এক যুগল গেছেন মধুচন্দ্রিমায়। ঠিক আর পাঁচজন দম্পতির মতই তাঁরা যখন একান্তে মত্ত, তখনই প্রথম কড়া নাড়ে 'বিপদ'। এ 'বিপদ' যেন ক্ষণিকের নয়, এই 'বিপদ'ই হল মিঠির সংগ্রামের, প্রথম ধাপ। মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar) ও বিক্রম চ্যাটার্জী (Vikram Chatterjee) অভিনীত 'কুলের আচার' (Kuler Achaar) ছবির প্রেক্ষাপটটি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার। বিয়ের পর পদবী পরিবর্তনে ঘোর বিরোধী মিঠি। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পদবী এক না হওয়ায়, পুলিশি টহলদারিতে সন্দেহের খাতায় নাম ওঠে তাঁদের। এদিকে বিয়ের পর পদবী পরিবর্তন না করা নিয়ে নাছোড়বান্দা মিঠি। এই ঘটনা থেকে রেহাই পেলেও, প্রতিনিয়ত সমাজের চোখে 'অলক্ষী' হয়ে ওঠেন অদম্য জেদী এই নারী।
মিঠি একজন আধুনিকা, স্বতন্ত্রতা যাঁর আদর্শের ভিত। তাই তিনি যেমন, তেমনটাই বিয়ের পর হয়ে থাকতে চান। স্বামী প্রীতম সমর্থন করলেও, প্রথাগত নিয়ম রীতি থেকে বেরোতে না পারা শ্বশুর শ্বাশুড়ি মিঠিকে সমর্থন করেন না। কিন্তু মিঠির আদর্শের কাছে, শ্বাশুড়িও সহিষ্ণু হন। বদলে যায় তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন। লড়াই আর মিঠির একার থাকে না। শ্বাশুড়িকে পুনরায় তাঁর পূর্ব পদবী ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, আইনের দ্বারস্থ হন মিঠি।
মিঠির পক্ষ নেওয়ায়, পারিবারিক বিরোধ হয় আরও জোরালো। মিঠির শ্বশুর তাঁর প্রতি আগের তুলনায়ও বেশি অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন। কারণ এবার যে মিঠি তাঁর শ্বাশুড়ীকেও তাঁর দলে নাম লিখিয়েছেন। পারস্পরিক দূরত্বে গল্প এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে কোন পক্ষ, সেটার জন্যই অপেক্ষা করতে হবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। ছবির শুভ মুক্তি সেই দিনেই।
ছবিটি সমাজের এক গুরুগম্ভীর বিষয়বস্তুকে মজার ছলের সঙ্গেই পরিবেশন করবে। ট্রেলারের শেষ অংশে দেখা যায় 'কুলের আচার' নামকরণটিও বেশ রসিক মনের নিদর্শন। সম্পর্কের মাধুর্য, ঘনিষ্ঠতা, মান, অভিমান, দূরত্ব নিয়ে মালা গেঁথেছেন লেখক তথা পরিচালক সুদীপ দাস (Sudeep Das)। ছবিতে বাংলাদেশী গায়ক মাহতিম শাকিব (Mahtim Shakib), মধুমন্তি বাগচীর (Madhubani Bagchi) এবং ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty) কণ্ঠে গানগুলিও একেবারে যথার্থ দৃশ্যায়ন ঘটিয়েছে। মিঠির শ্বশুরের ভূমিকায় আছেন সুজন মুখার্জী (Sujan Mukherjee) এবং শ্বাশুড়ির ভূমিকায় আছেন ইন্দ্রানী হালদার (Indrani Halder)। অনেক বছর পর তাঁকে বড় পর্দায় পাওয়া যাবে।