অতিক্রম হল একশো দিন, 'বেলাশুরু'র দীর্ঘ যাত্রায় উচ্ছ্বসিত কলাকুশলীরা
গত ২০ মে মুক্তি পেয়েছিল শিবপ্রসাদ মুখার্জী এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত 'বেলাশুরু'
'খেলা কি শেষ, নাকি বেলাশুরু?' উত্তরটা বোধ হয় সারা বাংলা এখনও পেয়ে যাচ্ছেন পরতে পরতে। কারণ শিবপ্রসাদ মুখার্জী (Shiboprosad Mukherjee) এবং নন্দিতা রায়ের (Nandita Roy) ছবি 'বেলাশুরু' (Belasuru) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ২০ মে। আজ পূরণ হল একশো দিন। তবুও এক বিন্দু কমেনি এই ছবির কদর। নতুন ছবির ভিড়েও স্বতন্ত্র্যভাবে এখনও নিজের জমি পোক্তভাবে অধিকার করে আছে, বাঙালির মনের খুব কাছের এই ছবি।
একশো দিন পূরণ হওয়ার আনন্দ উপভোগ করলেন পরিচালকদ্বয় এবং সঙ্গে অভিনেতা অভিনেত্রীরা। এই উদযাপনে সামিল হতে দেখা গেছে অভিনেত্রী মনামী ঘোষ (Monami Ghosh) এবং অভিনেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যকে (Pradeep Bhattacharya) । মনামী হয়েছিলেন কিংবদন্তি অনস্ক্রিন যুগল, সৌমিত্র চ্যাটার্জী (Soumitra Chatterjee) এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের (Swatilekha Sengupta) কনিষ্ঠ কন্যা, পিউ। প্রদীপ ভট্টাচার্যর চরিত্রটি বরাবরই বেশ কৌতুক গুণে সমৃদ্ধ হয়েছে 'বেলাশেষে' (Belaseshe) এবং 'বেলাশুরু' (Belasuru) ছবিতে। তাঁর সাবলীল অভিনয় এবং সময়মত দর্শককে হাসিয়ে তোলার গুণ বেশ সমাদৃত।
প্রায় সাত বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল 'বেলাশেষে' ছবিটি। 'ঘরে বাইরে' যুগল সৌমিত্র এবং স্বাতীলেখার রসায়ন এই ছবিতেও মন ছুঁয়েছিল দর্শককে। তাই পরিচালকদ্বয় পাঁচ বছর পর শুরু করেন 'বেলাশুরু'র কাজ। বলাই বাহুল্য, প্রথম ছবির সাফল্যের পর এই ছবি নিয়েও তাই দর্শকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। এই ছবির বিষয়বস্তু ছিল, অ্যালজাইমার আক্রান্ত আরতি, ওরফে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে নিয়ে, যিনি বার্ধক্যজনিত স্মৃতিলোপের শিকার হয়েছেন। তাঁর স্মৃতি ফেরাতে উদ্যত হন স্বামী বিশ্বনাথ অর্থাৎ সৌমিত্র চ্যাটার্জী। সন্তানদের চিনতে পারলেও, চিনতে পারেন না তাঁর স্বামীকে, যে স্বামীকে তিনি একটা সময় বলেছিলেন ভালোবাসা তাঁর কাছে অভ্যাসের মতই সাবলীল, যে অভ্যাস তাঁর বেঁচে থাকার ভিত। এই নিয়ে আবর্তিত হয় ছবির গল্প। ছবিটি এখনও বেশ কিছু সিনেমা হলে সগৌরবে চলছে। তার মধ্যে সন্তোষপুরের মেট্রোপলিস মলের আইনক্স, বারাসাতের লালি সিনেমা, নিউ টাউনে নজরুলতীর্থ, এমনকি ডায়মন্ডপ্লাজা মলের পিভিয়ারেও সকালের দিকে পরিবেশিত হচ্ছে এই ছবি।